Skip to content

বসন্ত পোড়া ছাই – টুটুল দাস

মেঘলা বিকেল ট্রাম
বেড়াতে গেছিলাম।

বসতে গেছি মাঠে
ইঁদুর শরীর চাটে।

শরীর আবার কি!
ছুঁয়ে দেখেছো নাকি?

ছুঁলেই বা কি গেল
যাবার কথায় ছিল।

যাবে কোথায়? বসো
একটু না হয় হাসো।

হাসিতে চোরাবালি
আড়ালতা একফালি।

আড়াল জমেছে কিছু
স্মৃতির মাথাপিছু।

স্মৃতিই ঘুমায় সাথে
মন ভাঙ্গনের রাতে।

ভাঙ্গলো কোথায় আর
শুধু পুড়েছে সংসার।

পুড়লো তবে সব?
বাকিই তো অনুভব।

এই অনুভবের নামে
কবিতা সাজাই খামে।

সাজানো ঘর-বাড়ি
কবিতা দিবে আঁড়ি।

আঁড়ির নাম তো প্রেম
সেটা কি শুধালেম?

তবে শুধাবে অন্তর্যামী
ঘুমিয়ে গেছে স্বামী?

সে সব কথা থাক
তবে বসন্ত উড়ে যাক।

রাতের কাছে থাকি
বসন্ত কোথায় রাখি?

আকাশও আছে ফাঁকা
বৃষ্টি জমিয়ে রাখা।

বৃষ্টি উড়িয়ে দিও
সেও তো তোমার প্রিয়।

প্রিয় দিবসের রাতে
হাত রেখো না হাতে।

কবিও ভয় পায়?
না।খানিকটা উপেক্ষায়।

হ্যাঁ, উপেক্ষাই ঠিক
তবে সময়ই বলে দিক।

সময়? লুকিয়েছিল বনে
সেই মামুলী ফাল্গুনে।

ফাল্গুন! বসন্ত যে নাই
এতো বসন্ত পোড়া ছাই।

2 thoughts on “বসন্ত পোড়া ছাই – টুটুল দাস”

    1. অসাধারণ উপাদান আমিও যে টুটুল হতে চাই ।
      তবে আমি অমলকান্তি যে রোদ্দুর হতে পারেনি।
      অথবা জোছনা হতে পারে নি । শুধুই প্রচ্ছায়া হয়ে আবর্তিত হয়েছে এ কবিতার থেকে সে কবিতার অরণ্যে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।