Skip to content

জন্ম এবং পুরুষ – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

আবার কে মাথা তোলে ফুলে ফেঁপে একাকার চাঁদ
সাধ হয় মাথা তোলে ফাঁসা মাথা একাকার মাথা
গহ্বরে মাংসের বিড়ে মাড় মুত ফুল রক্তপাত
আগায় দুপাড় পিছে – স্তম্ভ লাল ছিলা লাল, লাথি
ভাঙে ঈশ্বরের মুখ, বোঁচা নাক, সহসা সিন্দুক
খুলে গেছে, দুমড়ে গেছে ; ক্লান্ত শাদা হা-ঈশ্বর, ভেক
চিতিয়ে মরেছে রাশি, শাদা পেট উল্লুক চৌতাল
মরা উরু মরা মাছ কুঁচ সাপ কাঁকা নাল ডাঁট |
বুকের বনাত খাদ মুচিডাব দারুণ গরম
শক্ত লোহা শক্ত দুধ একাকার বিষাক্ত বলক
কে চুঁয়ালে মুখে নেবে | শয়তান ও অসম্ভব চূড়া
অচেনা সহসা, ফোলা ফোলা সব ফোলা অন্ধকার |

যোনির মাঢ়ির খিল হাট-করা, বেহায়া পাংশুতা
পুচ্ছ গোল নীল পুচ্ছ—হাহাকার, কী মুখে তাকাও
ক্ষুরে ঘা নালি ঘা মুখে কোষ্ঠাকার মৌচাক ধূলায়
মক্ষিহীন পুরাতন, কে ছোঁয়ায় উরুদেশে প্রেম
দ্বিধা, খসে নাভি হৃদি আজীবন, হে রম্য পুতলা
তোমার বন্ধনে রাত মৃতদিন উত্তেজনাহীন হে সমস্ত
কুরূপ ছোঁবে না পাপী বিমর্ষতা ঈশ্বরে ভজাও, নিশিদিন—
বড়ো জ্বালা জন্মের প্রখর জ্বালা ফোটালো বৃশ্চিক
প্রেতিনী মায়ের মুখ স’রে যায় বালুচরে তালুচরে জলে

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।