Skip to content

রামধনু – টুটুল দাস

তোর স্নানঘরের টিকটিকি আর
আমার ছাতার নিচে জমে থাকা মৃত অন্ধকার
পাশাপাশি বসলেই একটা রামধনু

‘বেগুনী’
শুষ্ক শ্রাবণের মাথার উপর
তোর ফেলে দেওয়া চুড়িদারের ছাউনি;
আর আমি মেঘ বন্দক রেখে আলগোছে বৃষ্টি খুঁজি
ধেপসে যাওয়া নেলপালিশে।  

‘নীল’
ভালোলাগা গুলো সামুদ্রিক মাছের মতো
চোখ দিয়েই স্বাদ নিতে হয়
ঠোঁট ছোঁয়ালেই লবন।
বাকি স্বাদগুলো কবিতার জন্য বরাদ্দ।

‘আকাশি’
দিগন্তরেখার ঠিক এক চুমুক আগে
কয়েকটা নিয়মমাফিক বিকেল
তোর সকালের সাথে সমানুপাতিক না হলেই
পাড়ার লোকে ট্রাপিজিয়াম বলে।

‘সবুজ’
শৈবাল খুঁড়ে খুঁড়ে পিচরাস্তা।
এখনো মাঠে নামলে পর্ণমোচীরা মাথা নুইয়ে দাঁড়ায়;
শুধু দূর্বাঘাসটুকুই জানে
কতটা আগুন লেগে আছে পদক্ষেপের আড়ালে।

‘হলুদ’
শাড়ি ব্লাউজের সাথে কাচতে দেওয়া শার্ট
যতটা রং চুষেছে ততটা আবেগ ঢাললে
বুনোমহিষও আদ্যিখেতায় বুঁদ হয়ে
রোদ্দুর ডেকে আনবে মেঘলা বারান্দায়।

‘কমলা’
চিবুকে কাঁচা রোদ, চাতকের সূর্যস্নান
ভৌকাট্টা ঘুড়ির সাথে মেঘের পরকিয়া;
সব কবিতাই বৃষ্টির জলে ধোয়া
তবুও ভ্রমরা বসে অনুভবে।

‘লাল’
যে হাতে মেহেন্দি লেগেছে
সে হাতে খুলতে নেই প্রাক্তন প্রেমিকের চিঠি।
ব্যালকোনির আনাচে কানাচে বিষাদ;
মনকেমনের দাগ শুকাবে না ন্যাপকিনে।

টুটুল দাসের কবিতার পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

অ্যাড ব্লক পাওয়া গেছে!!

সত্যি বলছি, আমরাও বিজ্ঞাপন পছন্দ করিনা! কিন্তু বিজ্ঞাপন এই ওয়েবসাইটকে বিনামূল্যে চালাতে সাহায্য করে! 

দয়া করে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করে পুনরায় লোড করুন।