Skip to content

তবে চলো ভাঁটিখানায় যাই – শক্তি চট্টোপাধ্যায়

কৌলিন্যপ্রবাদরুচি রামধনু উত্তরাধিকার লাম্পট্য তবে চলো ভাঁটিখানায় যাই কলমি
থানকুনির দাম মাড়িয়ে মাড়িয়ে, ভাঙা শামুকে পায়ের পাতা রক্তাক্ত করে, ভাগাড় পাশে
রেখে গাভী মহিষের চলো ভাঁটিখানায় নিয়ে | ডোমপাড়ার স্থূল রক্তচক্ষু কুকুরগুলো
চিৎকার করতে করতে বাঁশঝাড় পেরিয়ে নেমে আসবে কালো নষ্ট হাঁড়ি তিজেল ফেলা
খানার গভীরে, বৃদ্ধা ডোমনি পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে কাপড় ছুঁড়ে দিয়েছে জলে, পথের উপর
থেকে তার যৌবনের স্থবির রেখাগুলি স্পষ্ট হলো না, আর পিছু পিছু হাড়িপাড়ার
কুকুরের দল মাংসলিপ্সায় আসছে, অনেকদূরে হেঁটে, কাটাখালের পাড় থেকে হাঁসা হাঁসী
ঝুপঝাপ করে নামল জলে, বাবলার শাখা পীতপরাগে ছেয়েছে, তার গোপনে কাজলকৃষ্ণ
দুই ফিঙে বসে বসে গান গাইছে গান, গোবর নিকোনো উঠোনের পর উলঙ্গ কালো
ডোমের ছেলেটা চড়ুই, গোলাপায়রা, ছাতার পাখি তাড়িয়ে নাচছে, আর অপর ছোটটা
দুহাতে মুখে দৃঢ় করে ধরে আছে এক কালো কোমল মাটির স্তন |

তবে চলো ভাঁটিখানায় যাই, জিরেনের রসে ভিজিয়ে নিই কন্ঠ, স্বর, হৃদয়, প্রেম | তবে
চলো ভাঁটিখানায় যাই, শিশুর মতো মুখে স্তন দংশন করি, এক কালো কোমল মাটির
স্তন | একবারের জন্য মাতাল হয়ে অস্বীকার কর, দেখি মাকে বধূকে সন্তানকে |
তারপর অস্বীকার করি কোনো নগরগৃহে গোলামির ইতিবৃত্ত, ঈশ্বর, সাম্যতন্ত্র,
পিতামহের ভবিষ্যৎ, বিধবা অবিধবা ভগ্নীর দায়িত্ব | কৌলিন্য প্রবাদ রুচি রামধনু
উত্তরাধিকার লাম্পট্য তবে চলো এখন ভাঁটিখানায় যাই |

[A]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।