Skip to content

স্বাধীনতা – তাপস ঠাকুর

আমাকে কবি বলো না,
আমি কবিতা লিখিনি,
কবিতা পড়িনি,
শুধু কবিতাকে ঝড়ে পরতে দেখেছি,
শুকনো পাতার মত পুড়ে মরে যেতে দেখেছি ।

ঐ কবিতাকে দেখেছি শ্বশানের পথে-ক্ষুধার্ত।
যেন দুরবিক্ষে তলিয়ে গেছে তার ভিটে-মাটি।
সেই কবিতাকে আমি,
বুকে আগলে রাখতে পারিনি,
অবজ্ঞা-অবহেলা আর অনাদরে সে এখন অন্ধ।

সেই কবিতা আমি বুঝিনি,জানিনি কোনদিন,
শুধু তার চোখে বার্তা পেয়েছি নতুন দিনের-নতুন আলোর ।
হ্যা, আমি সেই বার্তা বাহক ।
কালের খেয়ায় আবার এসেছি
এই অর্ধমৃত পৃথিবীতে ।

ঐ পায়ে ফেসা ফুল ,
ডাস্টবিনের পাশে পরে থাকা
অসহায় নবজাতকের চোখ,
যেন হয় ধুসর অন্ধকার পৃথিবীর -ছোট ছোটআলোকময় দ্বীপ ।
অথবা এই অসভ্য পৃথিবীর বাগিচা।
অথচ, তারা পরে আছে পথে-ধুলোয়,
তাদের ভবিষ্যৎকারো মুঠোয় বন্দী।
আমি কী লিখব তার প্রতি-উত্তর ?
ঐ বঞ্চিত চোখ, ঐ পায়ে ফেসা ফুলগুলি
কেবলই একটি কবিতা খুঁজে প্রতিদিন-প্রতিমুহূর্তে,
যেন কবিতা এই অন্ধকার পৃথিবীতে মৃত,
যেন কোন এক বিশেষ শ্রেণীর আলোক উজ্জ্বলরঙমহলে,
অথবা বাজার অর্থনীতির লোভী চক্ষুতেবন্দী এই কবিতা ।

যদি আমার একক পৃথিবী
ভেসে যায় কোনদিন জনতার জোয়ারে ,
তবে শহরের আনাচে কানাচে
প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি প্রানে,
বিশাল অক্ষরে ।
তোমাদের প্রিয় কবিতাটি
আমি লিখে দিয়ে যাব !!
যার নাম- স্বাধীনতা ।

1 thought on “স্বাধীনতা – তাপস ঠাকুর”

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

অ্যাড ব্লক পাওয়া গেছে!!

সত্যি বলছি, আমরাও বিজ্ঞাপন পছন্দ করিনা! কিন্তু বিজ্ঞাপন এই ওয়েবসাইটকে বিনামূল্যে চালাতে সাহায্য করে! 

দয়া করে অ্যাড ব্লকার বন্ধ করে পুনরায় লোড করুন।