হ্যালো ভাই?
হেলবো – ঠিক আছে হ্যাললাম!
না মানে একটি প্রশ্ন করবো ভাই?
প্রশ্ন করবেন, তো প্রশ্ন করবেন?
হেলতে বললেন কেন?
আমি ভাবলাম, কারো সাথে ধাক্কা লাগবে
তাই হেলতে বলেছেন, আমি হেলেছি!
কিন্তু আমি হেলতে গিয়ে পরেগিয়েছি,
এখন জামা, প্যান্টে মাটি
ভেঙে গেছে আবার মিষ্টির বাটি
যাবো আমি শ্বশুর বাড়ি, তাই কিনেছিলাম বইয়ের জন্য শাড়ি,
তাতেও মাটির দাগ লেগেছে, কি হবে এখন!
ভাল লাগে না, মন বলে মেরে ঘুষি ভাঙ্গি আপনার নাকের বদন।
বলছি ভাই, আপনি পাগল না ভালো মানুষ?
কেমন প্রশ্ন ভাই? পাগল হতে যাবো কেন?
না মানে আপনার দুই পায়ে, দুই রকমের স্যান্ডেল তো!
দেখতে পাগল পাগল লাগছে, তাই তো বললাম।
ভাই ভুল বললেন, পা কখনো গোল হয় না!
পা সব সময় লম্বা হয়,মাথা গোল হয়
বলতে পারেন আপনার মাথা গোল!
তাছাড়া আমার দুই পায়ে দুই স্যান্ডেল, আপনার কি?
শ্বশুর দেখলে নতুন স্যান্ডেল কিনে দিবে
সেই প্লানে এই ভাব ধরেছি, বুঝলেন?
ও আচ্ছা বুঝলাম, আপনি কৃপণ কিন্তু পাগল না
এই লোক! ঠিক করে কথা বলো, কৃপণ বলো না,বলো এটা আমার স্বভাব।
তাছাড়া বুদ্ধি করে চলতে হয়,বুঝলে?
তবেই তো শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু পাওয়া যায়।
বাহ! বেশ বুদ্ধি তো আপার, বুদ্ধির তারিফ না করে পারলাম না
এই লোক, ঠিক করে কথা বলো, আমি তারি খেতে যাবো কেন?
না না ভাই, আমি তারি খাওয়ার কথা বলিনি
বলেছি আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে!
তাই বলো ভাই, আবার বলো, আরও বলো, শুনতে ভিষণ ভালো লাগছে।
তবে তোমাকেও তো ঝোঁকার আর পাগল মনে হচ্ছে।
দুই হাঁটুর কাছে প্যান্ট কাটা
তোমার ব্রেইনে কি আছে ফাটা?
ভাই আপনিও ভুল বললেন,
আমার পা গোল না, মাথা গোল।
তাছাড়া প্যান্ট কাটা এটা একটা স্টাইল
এখন প্রায় ছেলেরা এরকম পড়ে
থাক ভাই অনেক হয়েছে, কথায় কথা বাড়ে,
বাড়তে বাড়তে ঘুষি মারে
ভাই আপনি আপনার মতো, আর আমি আমার মতো
আপনি থাকেন আমি তাড়াতাড়ি যাই।
ক্ষুধায় পেট জ্বলছে, শ্বশুড় বাড়ি ভালোমন্দ খাবার থাকে
ঠিক আছে ভাই, তাই যান
আমিও খেয়ে নেই এই ফাঁকে।
হ্যালো কবিতা টি আমি রম্য কবিতা হিসেবে লেখার চেষ্টা করেছি। দর্শকের ভালো লাগলে আমার স্বার্থকতা। আশাকরি কবিতাটি আপনার কবিতা ককটেল এ স্হান পাবে।
রম্য কবিতা মানুষকে আনন্দ দেয়। আমি অশান্ত ও দুখি মানুষের মনে আনন্দ দিতে হ্যালো রম্য কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি।