**হীরাঝিল টু ইসলামাবাদ **
©আজিজুল হক
#_বাংলাকবিতা #বাংলা #বাংলাদেশ #_পশ্চিমবঙ্গ
১৭৫৭-তে যে প্রিয়তমা তার গভীর ভালোবাসায়
নিজের শরীর কে বিবস্র করেছিল
সময়ে অসময়ে নিষিদ্ধ প্রণয়ে মেতে উঠেছিল..
তুমি মীরজাফর ,তাকে ধর্ষণ করেছিলে মিথ্যে ভালোবাসায়!
এভাবেই বারেবারে ধর্ষিত প্রিয়া আবারও নিজের সর্বস্ব বিশ্বাসে
নিজেকে মেলে ধরেছিল
শতবর্ষ পরে..
এক নির্বিবাদ উত্তাপে প্রতিবারই হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা!
নিঃসংকোচে , আত্মপ্রত্যয়ে আমার
প্রিয়তমা চিরকাল বিশ্বাসে জেগে উঠবার দুরন্ত প্রয়াসে জন্ম দিয়েছিল আর একটা ‘৫৭র..
দুই ‘৫৭- র অসহ্য প্রসব বেদনা কখনও মীরজাফর কখনও না শিক্ষিত ভারতীয়দের বীভৎস লোভ লালসার বিছানায় শুধু রক্তের নির্লজ্জ দাগ ..
প্রিয়তমার মুখেও কিন্তু তখনও অসহ্য যন্ত্রনায় যুদ্ধ জয়ের হাসি!
এক ‘৫৭ – র অবৈধ প্রসব যন্ত্রণা
আর এক ‘৫৭ এ চোখ জুড়ানো মনোবল ‘৪২ থেকে ‘৪৭ এ পৌঁছে দিল!
জন্ম নিল যক্ষ্মাক্রান্ত,বিকলাঙ্গ শিশু..
ভাগ হল প্রিয়তমার শরীর টা!
একদল হিংস্র হায়নার ক্ষিধে মেটানোর সমস্ত সৌন্দর্য মজুত ছিল আমার প্রিয়তমার সর্বস্ব জুড়ে।
জন্ম লগ্নের রক্তের দাগ ক্ষতবিক্ষত করলো প্রিয়তমার এক প্রত্যয়ী ভালোবাসা কে।
আমি শুধু ভাবছি এ কেমন সন্তানের জন্ম হল, যার জন্ম মুহূর্তেই
তৈরি হল একটা ইস্যুর..
ধর্মের, সংখ্যাগুরুর অযাচিত অহঙ্কার,
প্রিয়তমা, এমন সন্তানে কি কাজ বল?
তার চেয়ে ক্ষমতায় বসে থাকা কংস রাজদের বোমা মেরে আরও
একবার গর্ভবতী হও!
©আজিজুল হক
১৭/৮/২৩
আজিজুল হক,পেশায় শিক্ষক, পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় বাড়ি। ইতিমধ্যেই দুটি কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত। মুখ ঢাকি লজ্জায় ও মানুষটা আমার থাক।মূলত: প্রতিবাদী ও প্রেমের কবি। লিখেন ভালোবেসেই। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নেতৃত্ব দিচ্ছেন ছায়ানট – নজরুল চর্চা কেন্দ্র ও বলাকা সাংস্কৃতিক মঞ্চের। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত একান্ত ভাবে কাম্য।