হ্যালো– হ্যালো–হ্যালো– কি হলো
পড়ে গেলে নাকি?
তাছাড়া আবার কি?
তোমার কথা শুনতে গিয়ে পড়ে গেছি
ব্যথা যন্ত্রণা, এখন শুধু ঔষধ খাওয়া বাকি!
আহ হারে, আমার খেলার পাখি,
পেয়েছে আঘাত, রাত্রে হবে ব্যাঘাৎ,
রাগ করনা, সোনা, ধোনা,কলা,জান
মালিশ লাগিয়ে আদর দিবো,
গরম হলে, গোসল দিও
পুকুর ঘাটে ডুবিয়ে তোমার রান।
আচ্ছা ঠিক আছে, কি বলবে বলো
যেতে রাত হবে, ডাকলে দোয়ার খোলো।
সে নিয়ে ভেবোনা , দুরে আর থেকো না,
মনটা তোমার জন্য নাচে
তোমার কাছে কেউ কি আছে?
শুধু আছে না, মোবাইলে কথা বলছে, আর হাসছে
তাহলে একটু সরে আসো
রসের কথা শুনাইও মন চাচ্ছে!
চু-চু-চু-চু–ছু– ইম–গাম,খেতে ইচ্ছে করছে।
কি হলো? কথা বলছো না যে
হলো কিছু খাম?
শুধু খামই হয়নি, গায়ে ঝড়ছে এখন শুধু ঘাম।
হেঁটে হেঁটে মোবাইলে তোমার সাথে কথা বলতে গিয়ে,
কলার ছালে পা পিছলে পরে গেছি
আর মোবাইলে কথা বলা লোকটির সাথে ধাক্কা খেয়েছি।
সে এখন আর হাসছে না কাঁদছে
মনে হয় লোকটি বেশি সূল পাইছে।
লোক এসে দেখছে ঘেঁটে
আর বলছে হেঁটে হেঁটে মোবাইলে কথা বলা ভুল,
আর ভুলে দূর্ঘটনার মূল, গায়ে এখন ব্যথায় ব্যথায় সূল।
তারপর কি হলো?
তারপর লোকটি বললো
বেয়াদব, বৌ পাগলা, পরে গিয়ে মারে ঠেলা
কি লোকটির এত বড় সাহস
আমাকে বলে পাগলা
লোকটির চৌদ্দ গোষ্ঠী গামলা।
শুধু গামলা নয়, আমলাও
ঠিক আছে সব সাম লাও।
আচ্ছা তাই করছি
রাস্তায় কলার ছাল কেউ যেন না ফেলি
কলার ছালে পা পিছলে দূর্ঘটনার পালি
তা বুঝলাম, এখন বাড়ি আসো পা চালি
তবে লোকটিকে ঠেলা মেরেছো
বাড়ি এসেও ঠেলা মেরো,
আদর করে, সোনা সোনা বলে ঠেলা মেরো,
ছেলের ঘুম পাড়ানো দোলনা।
রম্য রচনা মানুষ হাসানো হলেও, শিক্ষণীয় বিষয়ও থাকে। এ রম্য কবিতায়, রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মোবাইলে কথা বললে দূর্ঘটনা হতে পারে। আবার রাস্তায় কেউ কলার ছাল ফেলবেন না। কলার ছালে পা পিছলে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে।