Skip to content

স্বাধীনতার স্বপ্ন-পাখির জন্মদিন – প্রসূন গোস্বামী

ধানের শীর্ষে কাঁঠাল ফুটেছে আজ,
আকাশে ঝুলে আছে উল্টো চাঁদ।
মাটির গন্ধে মেশানো সূর্যের আঁধার,
কী এ জাদুময় দিনের আবির্ভাব?

এক বটগাছের নীচে, ষোলআনা স্বপ্নে,
জন্ম নিল এক স্বাধীনতার স্বপ্ন-পাখি।
ডানায় বাতাস বয়ে চলে বিদ্রোহের গান,
চোখে জ্বলে অগ্নিশিখা, মুখে বাতাসের ঝাঁকি।

কালপুরুষের ঘুম ভাঙলো সেই দিন,
হাজার বছরের অবিচারের নিশীথে।
বাংলার মাটি কেঁপে উঠলো আনন্দের ঢেউয়ে,
কীর্তিমুখরিত হলো সাত সাগরের সীমাহীনে।

সে জন্ম নিলো না রাজার কোনো প্রাসাদে,
না কোনো স্বর্ণ-সিংহাসনে।
সে জন্ম নিলো গ্রামের মাটির ঘরে,
মাটির মানুষের স্বপ্নের আশ্রয়ে।

কিন্তু, কী আশ্চর্য! সেই স্বপ্নের ছেলে,
রাজার চেয়ে হলো রাজকীয়।
সে দিলো না কোনো ধন, কোনো স্বর্ণের সিংহাসন,
দিলো শুধু স্বাধীনতা, সোনার বাংলার স্বপ্ন।

কিন্তু, কী নিষ্ঠুর এই বিধান!
স্বাধীনতার সূর্য উঠেছে, কিন্তু আকাশ কালো।
রক্তে রঞ্জিত হলো মাটি, কান্নায় ভিজলো নদী,
স্বাধীনতার যজ্ঞে বলি হলো কত প্রাণ!

কিন্তু সেই ঝড়-ঝঞ্ঝার মধ্যেও,
অবিচল রইলো সেই স্বপ্নের দৃষ্টি।
লোহার কণ্ঠে রণধ্বনি,
ডাকলো “জয় বাংলা”, জাগলো সারা দেশ।

আজ সেই স্বপ্নের জন্মদিন,
বাংলার মুক্তির মহামানবের জন্মদিন।
আকাশে তারারা জ্বলে উঠলো নতুন আলোয়,
ধ্বনি উঠলো, “শিকলি নেই, ভয় নেই, জয় বাংলা!”

কিন্তু, কবির চোখে দেখে এক অদ্ভুত দৃশ্য,
স্বাধীনতার পাখিটি আজও উড়ছে আকাশে।
ডানা মেলে, স্বপ্নের বীজ ছড়িয়ে দিচ্ছে চারিদিকে,
এখনো অসমাপ্ত স্বাধীনতার স্বপ্ন পূর্ণ করার ডাকে।

মন্তব্য করুন