Skip to content

সে প্রেম-মো.তানজিমুল আলম

সে যে একটা প্রেম ছিলো অনেক আগে।ভিতর থেকে আাসা ভালোবাসা।
সেদিন আর এদিনের পরিবর্তনে হারিয়ে যেতে যেতে ফিরে দেখা দিন গুলো আমার ছিলো।
নীলক্ষেত থেকে বই কিনছিলাম আমার বৌয়ের জন্য। দোকানদার কে বললাম মা উপন্যাস, পদ্মাবতী উপন্যাস দুটি দিতে।সে সাথে আমি নিছিলাম অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটা।
দোকানদার ভাই ভুল করে আমাকে একটা বই দিয়ে ফেলে বইটির নাম ছিলো অপেক্ষা।
অপেক্ষা বইটা আমি নিশাকে দিছিলাম তিন বছর আগে। তারও বিয়ে হয়েছে তিন বছরের কাছাকাছি হলো। আমাকে ছেড়ে যাওয়া আমাকে যে যন্ত্রণা দিয়েছে আমি তা আমি সহ্য করতে না পেরে একটা বিয়ে করি মা বাবার পছন্দ মতে।
এতোদিন বেকার ছিলাম। হঠাৎ আাশা সে মানুষ আমায় অনেক আগলে রাখছিলো। আমি ব্যাংকে জয়েন করছিলাম সবেমাত্র।
বই গুলো নিয়ে বাড়ি এলাম।আমার বৌ আশা কে দিলাম। এক একটা বই খুলে দেখলো সে অপেক্ষা বইটা প্রথম পৃষ্ঠা খুলে দেখলো আমাকেও দেখালো। আমি অবাক।
মনে মনে বলতেছি আমাকে তো রাখে নি , আমার দেওয়া উপন্যাস ও না। আসলে মানুষ পারে যা সবাই পারে না। তার দরকার এতোটাই ছিলো বইগুলো কেজিতে বিক্রি করলো ।
যাই হোক বইয়ের প্রথম পৃষ্ঠার ওনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো।
সেখানে লেখা ছিলো:- প্রিয় ভালোবাসার মানুষ তাজিল , তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা।তোমার জন্য আমি অপেক্ষা করতে পারি নাই তুমি আমায় দোষ দিবা। তুমি ও হয়তো আমার জন্য কোনো চেষ্টাই করো নাই।নয়তোবা প্রকৃতির খেলা।
তোমায় পাবো না তাই তোমার দেওয়া উপহার বলো ভালোবাসা সব উড়িয়ে দিলাম প্রকৃতির মাঝে। আর কেউ না জানলে প্রকৃতি জানবে তুমি আমার প্রথম প্রেম।

লেখা টা পড়তেছিলাম কষ্ট ও পাচ্ছিলাম। তারপর আাশাকে ডেকে থাকে শ্রেষ্ঠ উপহার বলে এটা তাকে দিলাম।
পরের দিন নীলক্ষেতের ঐ দোকানে আবার গেলাম। বইটার দ্বিগুণ দাম দিয়ে নিলাম।দোকানদার ভাই নিতো চাইলো না। আমি বললাম আমি দিচ্ছি যদি ও ভালোবাসা টাকা দিয়ে কেনা যাই না।
বাসায় আসলাম, বৌ দরজা তাড়াতাড়ি খুলার সাথে সাথে বললাম আমার জন্য অপেক্ষা করতেছো কি?

মন্তব্য করুন