Skip to content

সুখের অসুখ- অরণ্য মোমেন

সেদিন শ্রাবণের অঝরে ঝড়া বৃষ্টিতে,
তুমি যখন তাকিয়েছিলে
আমার ভেজা তনুর দিকে এক
নাছোর ও অপলক দৃষ্টিতে,
তোমার সে দৃষ্টির তীর যেন বাজির কোন
ভেজা কাপড় হয়ে আমায় লেপ্টে ধরেছিলো।
সে সময় প্রচন্ড শরমে আমি চোখেমুখে
টিয়া পাখির ওষ্ঠের লোহিত বর্ণের
মতো লাল হয়ে গিয়েছিলাম।
তোমার সে কাব্যিক চাহনি,
প্রেমের কবিতার সর্বশেষ সংকলিত
কোন সিলেবাসেই কখনও দেখিনি-
বিশ্বাস কর আমি তোমাকে
সেদিন খুব অসভ্য ভেবেছিলাম।
এখন রোজ রোজ তোমার
সেই অসভ্যতার শীর্ষ রূপ গুলোই
যেন আমার সব অসুখের সুখ।
একটু অসভ্য ভাবে তাকালেই যেন
ভালোবাসার সুখের অসুখে ভরে যায় বুক।
সেদিন আমার ভাবনার পুরোটা
জুড়েই ছিলো রোদ বৃষ্টি মাখা এক
কুজঝটিকা কাহিনী।
অবশ্য অনেক পরে সব বুঝেছিলাম-
যেদিন তুমি আমার লাজলজ্জা
সব অচেতন করেছিলে।
আমার তনুর থরে থরে সাজানো
সব শরমের মোড়ক খুলেছিলে।
শীতার্ত তুমি সেদিন স্বর্ণলতার মত
ভালোলাগা নিয়ন্ত্রিত সব উষ্ণতা
বিনিময় করে যাচ্ছিলে।
আমি যেন অজানা এক সুখ মেখে
লজ্জাবতীর মতো ধারাবাহিকভাবে
নুইয়ে পড়ছিলাম।
বাইরে নিয়ন আলো আর অন্তরে
আধো আলো আধো ছায়ায়,
আমার কম্পিত কায়ার ভাঁজে ভাঁজে
নিস্ক্রিয় কোন ফুলের পাপড়ী যেন
স্বযত্নে বিধ্বস্ত হয়ে সুবাসিত অনুভুতির
সাজে ভিষণ ভালোলাগা লাজে
তোমার সুখ ছোয়ায়।
বয়সের ভাজে লুকানো মেয়েলি
ময়ূর পংখী উতসবে মেতে উঠেছিল
নগ্নতার মাদকতায়।
সংক্রামক ব্যধির মতো অসভ্যতা ছড়িয়ে
মহামারি রূপে আবির্ভূত হয়েছিলে।
এখনও তোমার সেই সব
অসভ্যতাগুলোই যেন আমার চরম
সুখের শীর্ষ সভ্যতা।

মন্তব্য করুন