Skip to content

শিশুর সাফল্য – ডা কাজী আনোয়ার হোসেন বাঘাবারো

তপন কুমার বয়স ১০ বছর। খেলার প্রতি আগ্রহ বেশি। পড়তে চায়না। স্কুলে নাগিয়ে বাইরে খেলা করে এসে বলে স্কুলে গিয়েছিলাম।পরীক্ষায় ফেল করে। বাবা-মা সেজন্য রতন কুমার কে প্রয়ই মারে।মেরেও পড়ার প্রতি মন আনতে পারেনা। গৃহশিক্ষকের কাছেও পড়তে চায়না। সুমিতা ছেলের জন্য চিন্তিত।

হটাৎ একদিন সুমিতার ভাই সুভাষ চন্দ্র মাষ্টার সপরিবারে বেড়াতে এলো।সুমিতা তপন কুমারের কথা সুভাষ চন্দ্রের কাছে খুলে বলল।

তখন সুভাষ চন্দ্র বলে বোন শিশু মন কোমল। ওদের খেলার প্রতি ঝোঁক বেশি থাকে। ওদের ভালবাসা, কৌশল প্রয়োগ করে মানুষ করতে হয়।মেরে ধমকায়ে ভয় দেখায়ে লেখা পড়ায় মনোযোগী করা যায়না। বরং তাতে শিশুরা শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ে।

তুমি প্রতিদিন রতন কুমারকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যাবে। ও ক্লাসে পড়বে তুমি স্কুলের বারান্দায় বসে থাকবে। ওর পছন্দের খাবার টিফিনের জন্য দিবে।তাছাড়া ব্রেইনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবে।পড়া শেষ সঙ্গে নিয়ে বাড়ি আসবে।
গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ার সময় পাশে বসে থাকবে। বিকালে খেলতে দিবে মাঝেমধ্যে খুরতে সঙ্গে নিয়ে যাবে তাতে মন চাঙ্গা হয়।
সন্ধাহলে পড়তে বলবে পাশে বসে থাকবে পারলে পড়া ধরবে বুঝিয়ে দিবে। মারা রাগকরা যাবে না।

সুমিতা ভাইয়ের কথা মত এই কৌশল প্রয়োগ করল।রতন কুমার এখন ভালো ছাত্র। ক্লাসে ফাস্ট হয়।চারদিকে ছেলের সুনাম ছড়িয়ে পরল।সুমিতা ছেলেকে নিয়ে গর্বে আনন্দে সাফল্যের মুখ দেখল।

মন্তব্য করুন