Skip to content

রুপালি রৌদ্রুর – তাপস ঠাকুর

তুমি কি জান্নাতের হুর!
আমার নিস্তব্ধ আধার জীবনে
তুমি এলে হঠাৎ, যেন তুমি রুপালি রৌদ্রুর।
তোমাকে রোজ স্বপ্নে দেখি,
তোমার চোখে তাকেলে,
অদ্ভুত প্রশান্তিতে হৃদয় জুড়িয়ে যায় আমার।

চেরাগি পাহাড় মোড়ের লুতফা,
শাহাবাগ মোড়ের জোনাকি কিংবা ধানমণ্ডি লেকের পুষ্পিতা,
কাঠফাটা রোদে দাড়িয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে,
রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে গোলাপ,বেলি, রজনীগন্ধা বিক্রি করে যারা জীবনের সাথে লড়াই করে বাচে প্রতিনিয়ত,
তারাও জানে, বসন্ত ফাল্গুনের মানে।
জানলে না শুধু তুমি প্রিয়তমা।
বাজার অর্থনীতির লোভী চক্ষুতে বন্দী-
তোমার রোবটিক্যাল শরীর।
কর্পোরেট জীবন তোমার মননে যেমন যান্ত্রিকতা এনেছে।
তেমনি ভেতর থেকে বের করে নিয়েছে তোমার প্রাকৃতিক সত্বা, তোমার নিজস্বতা।
তোমার ঠোঁটে মৃদ কর্পোরেট অহংকার। প্রকৃতি কে উপেক্ষা করার নির্বোধ হাসি।
তাপ নিয়ন্ত্রিত অদ্ভুত পরিবেশে প্রশান্তি খুঁজে তোমার শরীর।
অথচ এমনটা হবার কথা ছিলো না কোনদিন।
কথা ছিলো, লোভ লালসা আর অহংকার আমাদের স্পর্শ করবে না কোনদিন।
আমরা ঘর বাধবো নীল আসমানের ঠিকানায়।
পুর্নিমা রাতে দুজনে গোল্লাছুট খেলবো।

ঝড়া পাতারা দল বেধে পরে থাকে পথে,
আমরাও একদিন ঝড়ে যাব,
শুকনো পাতার মতন পুড়ে যাব, উড়ে যাব।
একবার দুচোখ মেলে তাকাও ঐ কর্পোরেট জীবনের বাইরে,
বৃক্ষের শাখায় দেখো নব পাতার, নব পুষ্পের
মহা উৎসব।
আজ কিছু বেলি ফুল তোমার খোপায় বাধো,
আর ইচ্ছে মত সাজো, প্রকৃতি যেভাবে সাজে।
তুমি জান্নাতের হুর!
সহস্র বছর ধরে অপক্ষমান আমার নিস্তব্ধ আধার জীবনে
তুমি রুপালি রৌদ্রুর।

তাপস ঠাকুর
১২-সেপ্টেম্বর-২০২২

মন্তব্য করুন