Skip to content

রুক্মিনীর দ্বিতীয়তা – মাধুর্য্য

হাতে হাত রেখে অঙ্গুলাঙ্কের ঘ্রাণ
অপরের দিকে ভাঙা গিটার হাতে সুর তুলছে রিপু করা শার্ট এ
তবু তোমার ঠোঁটের রামধনু, কথার টংকার শঙ্খ-রাগের মত

কল্লোলে কৃষ্ণচূড়ায় আনে পীতরক্তিম আভা… যেনো আগুন
ফাগুন যেনো মুখরিত… কালের আদিম আকাঙ্ক্ষা নিয়ে

জলে পা ডুবিয়ে বসে খোস মেজাজে তুমি কৃষ্টি করে চলেছ বাক্যের তরুলতা
আমি বৃষ্টি , সেতো একা আসে না যে সে সুখের মায়াজালে
বান-ভাসি আমি, খেয়াল নেই তার জলের তোরে খেই হারিয়ে মাঝ সলিলে

দেহের সাথে আত্ম সেতো একাকার
কই আমি তো ভাবি না “আবার আসিব ফিরে”
তবু কি আছে সেই সোনার কেল্লা… জাতিস্মর
না আছে সেই অম্বা অম্বিকারা…

হারিয়ে যাই সেই রসাতলে পাতাল নাকি নরক
জলাঞ্জলী দিয়ে সেই চোখের চৌম্বকত্ব আর মোহ
ফিরিয়ে চলেছি জীবন যৌবনের ভাঙা রোজনামচা
টাকায় যখন জীবন কেন যায় তখন জীবনের আর মূল্য রইলো কোথায়?

কোথায় বা মানুষ খোঁজে হৃদয় ছুয়ে হৃদয়ের তরঙ্গায়িত সেই মুহূর্ত
রাধা বিরহে কেনোই বা দাগ কাটেনি রুক্মিনীর চিরকালের দ্বিতীয়তা
তবু আমরা ফিরে আসি সেই প্রেমের জোয়ারে
ভেসে যাই সেই অসীম তারা খচিত নীলাভ দিগন্তের কিনারে…!

মন্তব্য করুন