Skip to content

রক্তচক্ষু কোকিল – সৌরভ আহমেদ

তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি
সয়েছি তীব্র দাহন লেলিহান আগুন আলিঙ্গনে
এক নদী ব্যথা নিয়ে নৈঃশব্দের সাথে বেঁধেছি ঘর
তবু তোমার অবহেলা আঙুল তুলে বলে আমি পর।
যাবতীয় সুন্দরের পাশে আমি তোমাকে রেখেছি
হয়েছি বাউল তোমার ঐশ্বরিক মুখমণ্ডল দেখব বলে
তিন কোটিবার জন্মানোর জন্য নিয়েছি শপথ
তবু আমার সমস্ত কিছুতে তোমার নিরাসক্তি, অমত।
তোমার সব কিছু রপ্ত করব বলে বাতাসে পেতেছি কান
হয়েছি ক্লান্ত সহজাত দোষগুলোর সাথে যুদ্ধ করে
কিন্তু তুমি বারবার ক্রীতদাস বলে গিয়েছ এড়িয়ে
কার্বনডাই অক্সাইডের মত আমায় তুমি দিয়েছ ফিরিয়ে।
আমাকে এখন কেউ দেখতে পারে না
কুকুর বেড়াল পাখি পর্যন্ত এড়িয়ে চলে
পরিচিত সবাই আমায় অসামাজিক বলে দেয় খোটা
আমার কষ্টগুলো হয়ে যায় অশ্রুর ফোটা।
আমার আহবানের আকুতি দেখে প্রকৃতি আমাকে পীর মেনেছে
উপঢৌকন দিয়ে গেছে অন্ধ থুরথুরে পেঁচা
দশটি বছর আমি তোমায় তিনকোটিবার ডেকেছি
তোমাকেই ডেকে ডেকে রক্তচক্ষু কোকিল হয়েছি!

10 thoughts on “রক্তচক্ষু কোকিল – সৌরভ আহমেদ”

  1. এই কবিতাটি লিখে এমন এমন সব মানুষের কাছ থেকে ভালবাসা পেয়েছি যা চিরদিন আমার পাথেয় হয়ে থাকবে।সেই বিশেষ ব্যক্তিদের তার আমার কাদম্বরী দেবী একজন।

  2. সর্বশেষ মন্বব্যটায় কিছু ভুল ছিল, এখানে তার সংশোধিত সংস্করণ অাবার শেয়ার করা হল: এই কবিতাটা প্রসবের আগে আমি প্রসব ব্যথায় কবি গাজী রফিককে (বাংলাদেশের নোয়াখালির কবি) খুঁজছিলাম। কিন্তু তাঁকে কোথাও পাইনি। আজও তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছি।

  3. 1.কার্বনডাই অক্সাইডের মত আমায় তুমি দিয়েছ ফিরিয়ে।
    2.আমার আহবানের আকুতি দেখে প্রকৃতি আমাকে পীর মেনেছে
    উপঢৌকন দিয়ে গেছে অন্ধ থুরথুরে পেঁচা
    উপমার এরকম নতুনত্ব আমায় মুগ্ধ করেছে। কিছু সময় থেমে গিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে

মন্তব্য করুন