Skip to content

যদি তোমাকে পেতাম-ইকবাল বিন সুলতান

উচ্ছুক জনতার ভীড়ে,
যেখানে হাজারো মনোহরিণীর আনাগোনা
নব যৌবনা কিশোরীর নৃত্য আগমন,
যেথায় হৃদয়ের কথাগুলো বলা হয় পল্লবে।
আমি সেথায় সদা তোমাকে খুঁজি।

জোৎস্নার আলো দ্যুলোক মাঝে,
অনল ভরিয়া দেয় যেথায়,
আমি সেথায় সদা তোমাকে খুঁজি।

যদি তোমাকে পেতাম,
পূর্ণিমা চাঁদের আলোয়
এক কামাক্ষীনি রুপে,
তবে ঐ চাঁদ-তারা গ্রহ-পুঞ্জিকা সাক্ষী রেখে
এক দীর্ঘ আলিঙ্গনে
তোমায় হৃদয় ভরিতাম।
যতন করিয়া রাখিতাম,
যেমনি পাঁপড়ি মাঝে গোলাপ থাকে।

যদি তোমাকে পেতাম,
কোন এক বিকালে গোধূলিতে
সূর্য নিভু নিভু লগ্নে।
তবে পাহাড়ের শৃঙ্গে দাঁড়িয়ে,
আকাশের ঐ নিলিমা সাক্ষী রেখে,
এক দীর্ঘ আলিঙ্গনে,
তোমাকে হৃদয়ে ভরিতাম।

যদি তোমাকে পেতাম,
রোঁজ সকালে তোমার নামের সাঁইরেন হতাম
ইট পাথরের দেওয়ালে তোমার চবি এঁকে,
এই ব্যতয় নগরীকে সাজিয়ে
তোমার শহরকে সাক্ষী রেখে
তোমার সঙ্গে রহিতাম
যোজন যোজন ধরে।।

যদি আমায় ভালোবাসতে,
তোমার হাতের বিষের পেয়ালা
আমার জন্য অমৃত হতো!
পরকালে যদি আমায় ভালোবাস!
আমার হৃদয় তোমার হাতের মুঠোয় দিয়ে বলবো
দেখে নাও হিমু, এই গৃহে তোমার বসবাস।
তোমার নামের মানবী শব্দ,
মাঁয়ার বাঁধনে বেঁধে
অশ্রু দিয়ে খোঁদায় করে লিখেছি।

নির্ঘুম রাত্রি কেঁটে
দূর নিলিমায় সূর্যোদয়ে তোমার অপেক্ষায়।
যদি তোমাকে পেতাম,
সুউচ্চ দূর্গে দাঁড়িয়ে
উড্ডয়নরত সূর্যকে সাক্ষী রেখে
এক দীর্ঘ আলিঙ্গনে
তোমাকে হৃদয়ে ভরিতাম।

যদি তোমাকে পেতাম,
আমি সদা হাসি মুখে
অনলে ঝাঁপিতাম।
আমার দেহখান ছাই হয়ে,
মৃদু বাতাসে তোমার গাঁয় মেঁখে
এক দীর্ঘস্বাস হয়ে আমি
তোমার হৃদয়ে ঠাঁই নিতাম।।

যদি আমায় একটু ভালোবাসতে,
সহসা আমায় দেখিতে
তোমার ব্যতয় নগরীতে।
তোমার শহরে ঝাড়ুদার হয়ে
দু’খ করিতাম বিনাস।
আমি যদি সু’খ সাগরের মাঝি হতাম,
তবে সাগর নদী সাক্ষী রেখে,
তোমায় সঙ্গী হয়ে,
করিতাম সমুদ্র বিলাস।

যদি তোমাকে পেতাম,
নির্দ্বিধায় অষ্টরম্ভাকে ভুলিয়া যাইতাম।
যদি তোমাকে পেতাম,
এই বসুদায়, একটি বার তোমাকে পেতাম
একদীর্ঘ আলিঙ্গনে
তোমাকে অঙ্গে ভরিয়া
আমার জীবনে বহিতাম।

মন্তব্য করুন