Skip to content

মৃত্যুর মাঝি – প্রসূন গোস্বামী

রাতের নদী, নিবিড় অন্ধকার,
জলের বুকে কেবল ঝিকিমিকি তারার।
এ পারে বসবাস, অপার ও পারে,
মাঝখানে নৌকা, মৃত্যুর মাঝি চলে।
কালো জামা, ধবল কেশ, বৈঠা হাতে,
নীরব চোখে সে তাকায় দূরের দিকে।
নৌকায় ওঠে মানুষ, ছিঁড়ে স্বপ্নের মালা,
মৃত্যুর নদী পার হওয়ার অভিযাত্রা।

কেউ যায় রাজবাড়ি ছেড়ে, কেউ বা কুঁড়েঘর,
কেউ ছেড়ে মায়ের কোল, কেউ প্রেমের আঁধার।
শিশু, বৃদ্ধ, যুবক, বধূ, সবাইকে নেয় সে,
নিঃশব্দে চলে নৌকা, অজানা পারে।
কে জানে কোন নদী, কোন দেশের মাটি হায়,
কোন ফুল ফোটে ওপাশে, কোন পাখি গান গায়।
কেউ ফিরে আসে না, কেউ দেয় না খবর,
মৃত্যুর মাঝি চলে, নিঃশব্দ নিশীথের পার।

কখনো মেঘ গর্জে, কখনো বয়ে যায় ঝড়,
নৌকা দোলে, কাঁপে, তবু মাঝি থাকে নিথর।
জীবনের সুখ-দুঃখ, সব ছেড়ে আসতে হয়,
তার নেই ফিরে যাওয়ার অধিকার, যে চড়ে মৃত্যুর নৌকোয়।
এই নদী, এই নৌকা, চিরকালের স্রোতে,
চলে মৃত্যুর মাঝি, অজানা সীমার পানে।
আমরা সবাই, কখনো না কখনো, যাত্রী হব তার,
অনন্তের পথে চলতে, পার হব অন্ধকার।

মন্তব্য করুন