Skip to content

“মায়া,,

মধ্যরাতে আমি প্রায়ই জানালায় বসে থাকি।

এই সময়টা খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাই। সিগারেট শেষ হয়ে যায়।

ইচ্ছে হলেই শমির ভাইয়ের দোকানে গিয়ে সিগারেট নেওয়ার উপায় নেই।
আমি একটা ঘটনার পরে খুব বেশি রাতে একা বাড়ির বাইরে পা দেই না।
না কোন অলৌকিক বা ভৌতিক ব্যাপার না।
ব্যাপার টা পরিচিত মহলের লোকেদের থেকেই পাওয়া। রাত তিনটের সময়ে রাস্তায় ঘুরতে বেড়িয়ে পরতাম। এক বার এক বাল্যবন্ধু বলে ছিলো কিরে কোন ঘর থেকে বেড় হলি? তোরা অবিবাহিত ছেলে কিনা তাই জানতে চাইলাম।
আমি অবাক হয়ে থমকে গিয়ে জীবনের শেষ কথা টা বলার জন্যই উত্তর দিয়েছিলাম।
তোর মা, কে গিয়ে জিঞ্জেস করিস ।
তারপর থেকে আর সেই বন্ধুর সামনাসামনি দেখা করিনি।
যাইহোক ও সব পুরোনো কাসুন্দি না ঘাটাই ভালো।

আকাশে পানে তাকিয়েই দেখা যায়, জলমেঘের দল ছুটছে,, একটা দুটো তারা মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। এই মায়ার একটা নামও আছে।
মনে হয় আমি তাকে খুব ভালো করে জানি, খুব চেনা চেনা মনে হয়।

সর্বনাশ!
এই মায়া আমার পিছু ছাড়ছেনা।
তার সাথে আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলো কেটেছিল।
একবার আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়েছিল
তপ্ত দুপুরে।
আমার ঘামে ভেজা শার্টে তার মাথার চুল আটকে যাচ্ছিল।
হ্যাঁ সেই মায়াবী সুন্দরীর সবই মনে আছে।

খুব গুছিয়ে কথা বলতে জানতো।
চোখে তাকালে আমার সব কথা বোবা হয়ে যেতো।
যখন কথা বলতো আমার কথাগুলো তার কথায় চাপা পড়ে যেত।

আমি বোকা হয়ে তাকে দেখতাম ঠিক যেমন এখন অন্ধকার আকাশ দেখি।
আমরা শিরা উপশিরায় আমি তার ভালোবাসার স্রোতের অনুভব পেতাম।
মাঝেমধ্যে মনে হতো কোন দেয়ালে আঁকা চিত্রশিল্প।
যা পিকাসো সাহেব আমার জন্য এঁকেছে, আর কারো জন্য না।

যেদিন শেষবার আমার সামনে দাঁড়িয়েছিল। আমার কথা আটকে যাচ্ছিল মুখে।
কেন জানিনা সেদিন সেই পিকাসোর আঁকা ছবি ঝড়ের বেগে রাস্তায় পড়ে ললিত হয়ে সব হারিয়ে আজ নীল আকাশের জ্বলজ্বল সেই মায়াবী মায়া হয়ে আমার রাত জাগা সঙ্গী।

মন্তব্য করুন