স্বর্গ নরক এই দুনিয়ায়, ট্রাফিক জ্যামের ভিড়ে।
মনুষ্যত্ব বিকোচ্ছে, অশিক্ষিত সভ্যতার নীড়ে।
দু চার কলম লিখতে পারা, নয় শিক্ষির পরিচয়।
শিক্ষিত মানুষ তাদের বলে, মনুষ্যত্ব লাবণ্যময়।
তুমি কে হে? মনুষ্যত্ব বিচারের, প্রধান বিচারক।
সন্দেহ গুলো মনের মধ্যে, ভাবনা গুলো অপারক।
সন্দেহ যখন দানা বাঁধে, সব কিছুতে ব্যর্থ হওয়া।
চেষ্টায় মানুষ যায় এগিয়ে, সুদিন কে কাছে পাওয়া।
শিক্ষিতরা শিক্ষিত হয়েও, একদিন আফসোসে পস্তাবে।
মূর্খরা তখন মূর্খতার জন্য, এ সমাজের মুখিয়া হবে।
পৃথিবী ঘুরছে, পৃথিবীর মতো, ভাঙছে তারও দেওয়াল।
এমন ও দিন আসতে পারে, শিক্ষিতকে মূর্খরা করবে সাওয়াল।
নয় বেশি দূর, চললে সুদূর, এমন শিক্ষার বাহার।
দানের সেরা, করছে জেরা, দু কেজি চালের আহার।
কাজ করে না, মেহনতি মানুষেরা, চা বাগানে ও মাঠে-ঘাটে।
ঘরেতে বসে তাস পিটিয়ে, শত দিন কাজের হাজিরা সাটে।
দোষ নেই তাদের, দোষ এই সিস্টেমের, স্বীকার করে নাও।
গদির লোভে সবকিছু ফ্রি, সবকিছু চুরি, কেমনে মেনে নাও।
প্রতিবাদ জানালে, প্রতিবাদী নয়, রাজনীতির তকমা মাখায়।
গঙ্গার জলে, গঙ্গা পুজো করে তারা, নামাবলী দেয় গায়।
জাত পাত ভুলে, লোভ ত্যাগ করে, একজোট হয়ে গড়।
প্রতারক ও ভ্রষ্টাচারীকে চিহ্নিত করে, কলার টা চিপে ধর।
এখনো কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভ কামনায় হয় সোচ্চার।
বিভেদের মাঝে খুঁজে নাও তাদের, মনুষ্যত্বেকে কোরো না ব্যভিচার।
এ পৃথিবীর সভ্য সমাজে, বেঁচে থাক মনুষ্যত্বের মানবিকতা।
জনগণের হৃদয়ে লিখে দিও আবার, সম্প্রীতি আর বিবেকের পাতা।
ভুলগুলো সব শুধরে নিয়ে, নতুন করে সমাজ গড়ে তোল।
আমরা মানুষ, হারিও না হুশ, শুধু মনুষ্যত্বের দরজা খোলো।
কবিতা পড়ুন কবিতাকে ভালবাসুন