Skip to content

ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসা দিবসের কবিতা – যুবক অনার্য

তার সাথে একটি দীর্ঘ বিরতি কেটে গিয়েছিলো
আমাকে খুঁজে বের করা তার কাছে সহজ ছিলো না
কারণ আমি কখনো চাইনি সে আমাকে খুঁজে পাক
সাত বছর পর দেখা হলো স্বাধীনতা উদ্যানে
আমি পছন্দ করি বলে কবিতার মতন
কপালে পরেছিলো কালো টিপ
‘কাকতালীয়’ বলে যে একটা ব্যাপার আছে
বিশ্বাস না করে পারলুম না
সে পরেছিলো একটি কালো জামদানি
আমার পরনেও কালো পাঞ্জাবি আর জিন্স
মন্দিরের সামনে অচল মুদ্রার মতন পুকুর, তার সিঁড়িতে
বসলাম পাশাপাশি। মাঝখানে শূন্যতা। সংস্কারের দেয়াল
ঝুপঝুপ বৃষ্টি শুরু হলো
আমরা মন্দিরের বাউন্ডারির ভেতরে ঢুকে পড়লাম
পশ্চিম পাশে একটি নতুন ঘর তখোন অর্ধনির্মিত
তার বারান্দায়- কী অদ্ভুত- দুইটি চেয়ার
আমাদের উদ্দেশেই বুঝি রাখা ছিলো!
ওখানটায় বসে চেয়ার দুইটির শূন্যতা উড়িয়ে দিলাম
তার ঠোঁট কাঁপছিলো। কথা বলতে পারছিলো না
অপরাধীর মতন মাথা নিচু করে বসে আছে
এতোদিন পরেও কি মানুষ ওসব মনে রাখে!
বেশ কিছুক্ষণ পর
ব্যাগ থেকে সে বের করলো আটটি লাল গোলাপ
প্রথমে একটি গোলাপ কম্পিত হাতে
আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো
তারপর চারটি গোলাপ
তারপর তিনটি গোলাপ
আমি তাকে ধন্যবাদ দেই নি
আমার চোখের ভাষায় সম্ভবত
সে তা টের পাচ্ছিলো
আর তাকিয়ে ছিলো-
কী গাঢ় আর স্নিগ্ধ দু’টি চোখ
করতলে অন্ধকার নিয়ে অনন্তকালের মতো বহমান
আমি তার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে দিয়েছিলাম
কিন্তু তখোন অনেক দেরি হয়ে গ্যাছে
সে ফিরে গিয়েছিলো আমার ক্ষমা আর অক্ষমতা নিয়ে
আমিও ফিরে এসেছি তার বিলম্বিত ভালোবাসা নিয়ে
আমার শুধু মনে পড়ছিলো- ভলোবাসা হয়তো শেষ কথা নয়!

1 thought on “ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসা দিবসের কবিতা – যুবক অনার্য”

মন্তব্য করুন