ভূলুণ্ঠিত দর্জির প্রতি
যুবক অনার্য
গাছের কাছে গিয়ে দেখি-
পাতারা সবুজ
পাতায় সালোকসংশ্লেষণ
চলছে রন্ধনপ্রণালী
নদীর কাছে যাই – বইছে নদী কুলু কুলু
বাঘের গায়ে ডোরাকাটা দাগ
হরিণের মায়াবী চোখ
মাঠের বুকে ফসল
গোলাভরা ধান
মানুষেরা এখন আর নয় অনাহারী
– ‘ভাত দে হারামজাদা’ আজকাল
প্রাসঙ্গিক ওরকম নয়
৯ টা ৫ টা অফিসের ঘড়ি
উড়াল সেতু মেট্রোরেল
অত্যাধুনিক যাপিত জীবন
কী চমৎকার এই দেশ
আর দেশোয়াল তিনি
শুধু একটি বিষয়ে
সকলেই করছে অভিন্ন আচরণ
সকলের মুখ যেনো সেলাই হয়ে আছে
মাছি ঢুকবার নেই বন্ধ মুখে কোনো ঝুঁকি
বোবা নয় তবুও কেউ কথা বলছে না
‘টু’ শব্দটিও দন্ডযোগ্য অপরাধ
যেমন নাকি “হুশিয়ারী” কবিতায়
বলা হয়েছিলো-” চোদা বারণ”।
মুখ সেলাইকারী দর্জিকে বলে দাও-
ভূলুণ্ঠিত হবার পূর্বে পতনের শব্দ
থেকে যায় কেবলি শব্দহীন।
অসাধারণ প্রিয় কবি।
অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। শুভ কামনা।