Skip to content

ভূতুড়ে রাত্রি

রাত পোহালেই আসবে ফাগুন হৃদয় মাতানো ফুলে;
সেই ভাবনায় আজকে আমার হৃদয় কেবল দুলে।
তখন যে শুনি অশনির মতো একা
পেয়েছি মাঘের শেষের দিবসে এ কার ছায়ার দেখা।
আলয়ে ছিলাম একলা রাতের বেলা;
ঘন তমসার আঁধার করেছে খেলা,
তখন শুনেছি উদ্ভট এক চিৎকার বাজে স্রোতে;
ভীতি জাগে মন ক্ষতে।
পর্দা দুলেছে আমার আলয় কেমন ভূতুড়ে লাগে;
মনেতে শঙ্কা জাগে,
এলো কি তবে এ মৃত্যু আমার নাকি সে ফেরেস্তা;
বুঝতে যে আজ করেছি আর চেষ্টা।
সহসা আবার চোখের পটেতে ভাসে কিমাকার ছায়া;
সেইখান হতে আসে যেন এক মেদুর কান্ত মায়া।
অলীক লাগছে সবি;
ভয় পেয়ে যাই জীবনের ভয় কাঁপে আজ যেন কবি।
ডাকি আমি নিজ বিধাতারে বেগে আজ;
করুণ স্মৃতির সকল আধার করেছে মনে বিরাজ।
হটাৎ আমার আলয়ের কড়া উচ্চ স্বরেতে বাজে;
হৃদয় আমার সবলে এসেছে ভীতি কাটে এ বিরাজে।
ভৌতিক বলে জানি কিছু নেই তাই খুলেছি আগল;
দেখিনা সেথায় কাউকে যে আমি মন হয়ে উঠে পাগল।
দ্রুত বেগে দ্বার বন্ধ করেছি আর;
চোখের পটেতে ভাসে অকূলপাথার,
ফাল্গুন ভাবী তাই মনে দোলা দিয়েছে দখিনা বায়ু;
ভেবেছি যে তাই বায়ুর আঘাতে দরজার কড়া স্নায়ু।
একটু সময় পর যেন বাজে আবার আগল কড়া;
এবার ভীতিকে তাড়িয়ে দিয়েছে মরণ আপন করা।
দুয়ার খুলেছি এইবার দেখি দুষ্ট এ সহচর;
থামে বুকে ধড়ফড়।
আগামী ফাগুন বলে সে যে আসে উদযাপনের লাগি;
আমরা দু’জন সারা রাত রবো জাগি।
কেটে গেছে ভয় কেটেছে শঙ্কা আমার দু’জন বলে;
গভীর রজনী আমার পোহাই নানান খেলার ছলে।
আবার তিমির রাতে শুনে উঠি দরজার কড়া নাড়ে;
আমার বন্ধু বলে উঠে তাই মিছে ভয় পোষা দ্বারে।
খুলে দেখে কেউ নাই;
চমকে দেখেছে পর্দা দুলছে ভয় মনে নিলো ঠাঁই।
দুয়ার বন্ধ করে চলে আসে আমার নিকট বেগে;
বলে ভূত আছে আমার আলয়ে জেগে।
আমি হাসি দিয়ে বলি;
হৃদয় আমার তার ভয় দেখে উঠেছে আজ উছলি।
দুইজন মিলে সারাটি রাত্রি একসাথে করি বাস;
ঠাহর করেছি একে অপরের শ্বাস।
ভয়ে ভয়ে গেলো সারাটি রজনী আজ;
কখনো শুনেছি কড়ার শব্দ কি নূপুর কারুকাজ।
ভূতুড়ে রাতের স্মৃতিগুলো যেন মুছে ফাগুনের প্রাতে;
দুই বন্ধুতে হৃদয় উঠে যে মাতে।
স্মৃতিগুলো সব ফিরবেনা আর জানি;
তবুও আমরা মানুষ বলে যে হবে শুধু কানাকানি।

মন্তব্য করুন