পথের বাঁকে দোতলা বাড়ির নন্দিনী,
মোর হৃদয়ের মনন খাঁচায় বন্দিনী।
ওই তো সেদিন পড়তে যাবার পথে,
হঠাৎ করেই দেখা তোমার সাথে।
তখন তুমি সমস্ত মন জুড়ে,
ক্লান্ত আমি তোমার পিছু ঘুরে।
যেদিন তুমি মুচকি হাসি দিলে,
সেদিন প্রথম চমকালো মোর পিলে।
প্রেম নিবেদন করলাম অবশেষে,
হাতের গোলাপ নিলে ভালোবেসে।
চলছিল বেশ রাস্তাঘাটে দেখা,
মাঝের মধ্যে রাগ অভিমান লেখা।
যদি ভীষণ খারাপ হত মন,
খুব গোপনে করতে আমায় ফোন। ।
অবশেষে চাকরি পেলে তুমি,
বাউন্ডুলে রয়ে গেলেম আমি।
করলে শুরু এড়িয়ে আমায় চলা,
বন্ধ হল ফোনেও কথা বলা।
গোপনে তুমি করলে পরিকল্পনা,
পরের পরে আসলো দেখাশোনা।
চুকেও গেলো বিয়ের পাকা কথা,
আমার ভাগ্যে রইলো নীরবতা।
ঢুকরে কেঁদে মানুষ হয়েছি খাঁটি
তুমি বিনে একাকী পথ হাঁটী।
আসবে না আর অশ্রধারা,শুকনো রবে চোখের কোণ।
ঘষে ঘষে লাল হচ্ছে আঁখি, আসবে নাতো আর স্বপন।।