Skip to content

ভয়ানক স্বামী – কবি : সুভাষ চন্দ্র দাস

খবরদার,আমাকে একটুও ছুবি না,নইলে আমি বিষ খেয়ে মরে যাবো। আমি তোকে জামাই হিসেবে মানি না।
.
— আচ্ছা,এই নে
.
— এটা কি?
.
–বিষের বোতল।
.
— কি,এটা দিয়ে আমি কি করবো?
.
— কেনো, তুই তো বললি যে, বিষ খেয়ে মরে যাবি। তো নে তুই বেচে থাকলে আমি তো তোকে স্পর্শ করবোই।
তার চেয়ে ভালো তুই এটা খেয়ে মরে যা।
.
— কি,আমি মরতে যাবো কেন।
মরবি তুই, যদি আমিও মরি,তাইলে তোকে ফাসাইয়া দিয়ে যাবো।
.
— কিভাবে? ধরলাম,তুই মরে গেলি।সবাইকে এটা বলবো যে তোর বাবা-মা জোড় করে বিয়ে দিয়েছে।
আর এটা তুই নিতে না পেরে আত্মহত্যা করছিস,সিম্পল
.
— আমি তোকে খুন করবো।
.
— পারবি না,আমার শক্তি বেশি,
তোর কাছে ছুরি পিস্তল কিছুই নাই।

এখন,শোন আমার তোর মত পেত্নির সাথে ইটিশপিটিশ করার কোনো ইচ্ছে নেই।ঢাকায় যাবো। ডিবোর্সের এপ্লাই করে ডাইরেক্ট গার্লফ্রেন্ডরে নিয়ে হানিমুন।
.
— কি,বউ থাকতে গার্লফ্রেন্ডের সাথে হানিমুন?
.
— তো কি,বিয়ে তো আমি মানি না।
.
— আমি মনে হয় মানি,আমারও আছে?
.
— তোর ও কি বয়ফ্রেন্ড আছে?
.
— না,বাসের টিকিট! ঢাকার বাসের টিকিট আছে।
সেটা দিয়ে ঢাকায় নিজের এক্সের কাছে চলে যাবো। তোর কাছে থাকার চেয়ে এক্সের কাছে থাকা শত গুন ভালো।
.
— আচ্ছা,যা ইচ্ছা তা করিস
,এখন সর আমি ঘুমাবো?
.
— তুই খাটে শুতে পারবি না!
.
— আব্বে খাট টা আমার,তোর বাপের না?তোর কথা আমি শুনমু কে? সর
.
— আমি সরবো না।
.
— আচ্ছা,তাইলে আমার সাথেই ঘুমা।
রাতে যখন অঘটন ঘটবে তখন আবার নালিশ দিতে পারবি না যে,আমি সাবধান করি নাই।
.
— হুম,তুই এখানেই ঘুমা, দেখা যাক
কি করতে পারোস তুই।
.
— আচ্ছা,।
.
সাঈমা সাথেই শুয়ে পড়লাম।
এতক্ষণ দীর্ঘ ঝগড়া চলছিল আমার বউ, না ছাই সাঈমার সাথে।
গ্রামে আসছিলাম আম্মুর বান্ধবীর মেয়ের বিয়া খেতে আর এখানে এসে যে নিজের কুরবানি হয়ে যেতাম কে জানে।
.
.
কি ফালতু জামাই এরা পছন্দ করছিলো। বিয়ার দিন গার্লফ্রেন্ডের সাথে পালায় যায়। এদের জন্য আমার মত বেচারা পোলাপাইন রা ফেসে যায়।
.
.
কিছুক্ষণ পরেই ঘুমিয়ে পড়ি।
একটু পর একটু নড়াচড়া করতেই যাই। সাঈমা হুট চিৎকার দিয়ে উঠে।
.
.
চিৎকারের ঠেলায় ঘুম ভেংগে যায়।
উঠে বসে পড়ি।
.
— আব্বে তোর প্রবলেম কি, এমনে চিল্লাস কে? আমার সাউন্ড সিস্টেম গেসে মনে হয়?
.
— আমার মনে হল,তুই আমার সাথে খারাপ কিছু করতে চাইছিলি, তাই চিৎকার দেই ভয়ে।
.
— কপাল, আচ্ছা,মাফ কর। আমি নিচেই ঘুমাচ্ছি,তোর সাথে শুলে আমার ঘুমের জ্বর আসবো ভাই
.
বালিস নিয়ে নিচে শুয়ে পড়ি।
.
.
শালি শান্তিতে ঘুমাইতেও দেয় না।
কি ঝামেলায় পড়সি।
এখন আমার গার্লফ্রেন্ড গুলার কি হইবো।
ওইগুলা আমাকে ছাড়া একদিনো তো বাচবো না।
যাক ঘুমের সাগরে ডুব দিয়া আসি।
.
.
সকাল সকাল ঘুম ভেঙে গেল।
উঠে বসে পড়লাম,জানালা দিয়ে আলো আসছে।
উঠে দাড়ালাম।
বিছানার দিকে তাকিয়ে দেখি সাঈমা বিছানায় শুয়ে আছে।
বালিশের উপর পা আর মাথা… মানে পুরা উলটা। সাঈমা শাড়ি পড়ে ঘুমিয়ে আছে।শাড়ির আচলটা সড়ে গেছে।
পেটের অনেক টা অংশ দেখা যাচ্ছে।এভাবে রাখা ঠিক না।
আমি গিয়ে আচল টা ঠিক করতে যাচ্ছিলাম, পেত্নি আর সময় পেল না জাগার,
আমাকে চোখের সামনে দেখে সরাসরি চিৎকার।
আমি তার সাথে তাল মিলিয়ে চিৎকার দেই।
এই পর্যায় আমি গিয়েই মুখ চেপে ধরি।
.
— এই তোর সমস্যা কি,চিল্লাস কে?
.
— তুই আমার উপর কি করছিলি?
খারাপ মতলব?
.
— চুপ শালি,কানে নিচে এমন একটা দেবো,আরেকটা দেয়ার জাগা থাকবে না।কাপড় ঠিক রেখে ঘুমাতে পারিস না।
তোর শাড়ির আচল ঠিক করছিলাম।
.
বলতে বলতে,দরজায় নক।
.
গিয়ে দরজা খুললাম।
শালী দাঁড়িয়ে দরজার সামনে,
.
— কি জামাইবাবু,সকাল সকাল,কিসের চিৎকার? দুষ্টুমি?
.
— দাড়া, আমার সাথে মশকরা।
হাতা মোড়াতে মোড়াতে বলছি,
.
— রাতে একটা লাঠি দেখছিলাম,গেল কোথায়?
.
— সরি,দুলাভাই,বাই আমি গেলাম।
এই বলে দৌড় দেয়।
.
.
.
.
.
.
চলবে

মন্তব্য করুন