Skip to content

বেস্টফ্রেন্ড(জীবন থেকে নেওয়া)

পর্ব- ১ঃ
হাইস্কুলে সেদিন আমার প্রথমদিন ছিলো। দাদুর হাতটা ধরেই সেদিন যেন এক অচেনা শহরে পা রাখলাম। নতুন টিচার,নতুন নতুন সব ছাত্র ছাত্রী সবমিলে এক অচেনা পরিবেশ। আমি স্বভাবে খুব একটা মিশুক ছিলাম না। বলা বাহুল্য যে, অপরিচিত কারো সাথে বন্ধুত্ব তো দূরে থাক, কথা বলতেও যেন লজ্জা পেতাম।এমন মানুষের সাথে কে ই বা সেধে মিশতে চাইবে।পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ বোধহয় হয়, যারা খুব অল্প মানুষের সাথেই মিশতে পছন্দ করে এবং খুব আপন করে নেয় তাদের।যেন তাদের ছাড়া সে অচল। একথা কেন বললাম? চলুন জেনে নেওয়া যাক।।

“ধুর!! ভাল্লাগেনা স্কুলে যেতে।সবার ফ্রেন্ড আছে ক্লাসে,শুধু আমারই নেই।হবেই বা কি করে? ক্লাসের মেয়েরা যা হিংসুটে! খুব ভাব সবার।দরকার ছাড়া কেউ কথা ই বলেনা।”
আম্মুঃ ওরা হিংসুটে নাকি তুই? তুই তো মুখচোরা,মিশতে পারিস না সহজে কারো সাথে।
আমিঃ ভালো হইছে, ভাড়া টা দাও নাহলে ক্লাসে দেরী হয়ে যাবে।
স্কুলে এসে তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে ঢুকলাম।৪ টা ক্লাস শেষ হওয়ার পর শুরু হলো টিফিন পিরিয়ড।
পাশে একটা মেয়ে বসেছিলো, টিফিন পিরিয়ডে সেও ছুটি নিয়ে চলে গেল। এমন সময় পাশের সারির ফাস্ট বেঞ্চে বসা মেয়েটা হঠাৎ তার ব্যাগটা আমার ব্যাগের পাশে রাখলো আর জিজ্ঞেস করলো,”আমি এখানে বসি?”
শ্যামবর্ণ, চোখে কাজল আর মুখের মায়াবি চাহুনি দেখে মনে হলো, যাক! এই মেয়েটা নিশ্চয়ই খুব ফ্রেন্ডলি। তাইতো নিজে থেকে এসে আমার পাশে বসতে চাচ্ছে।
কোনো উত্তর না দিয়ে আমি সরে বসলাম এবং টিফিন বের করলাম। মেয়েটা হঠাৎ রেগে গিয়ে মুখ ঝামটি দিলো আর বলে উঠলো, “মুচি কোথাকার!” সাথে সাথে তার ব্যাগ নিয়ে আবার তার বেঞ্চেই ফিরে গেলো।আমি মনে মনে খুব রাগ হলাম।জানতে পারলাম মেয়েটার নাম রানু, আমাদের ক্লাসের মনিটর এবং ভালো স্টুডেন্ট দের মধ্যে একজন। সেদিন থেকে রানু কে আমি অপছন্দ করতাম। আমি মুচি হই বা যা হই তাতে ওর কি? ও কেন বলবে? আমি কি ওকে বলছিলাম যে আমার পাশে বসো এসে।

মন্তব্য করুন