পর্ব-২
কয়েকমাস পর আমাদের এক্সাম শুরু হলো।এক্সাম হলে গিয়ে অবাক হলাম কিছুটা।কারণ আমার সামনের সিটে রানু বসে আছে।এক্সামে দু’জন দু’জনকে হেল্প করার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে কখন যে বন্ধুত্ব হয়ে গেলো বুঝতেই পারিনি।এমনকি সেটা বেস্ট ফ্রেন্ডে রূপান্তর হলো।দু’জনের মধ্যে যে স্কুলে আগে যাবে, সে জায়গা ধরে রাখবে।ক্লাসের পড়া নিয়মিত করে আসা,একসাথে টিফিন খাওয়া,গল্প করা সবকিছুতেই আমরা একসাথে সবসময়।একদিন নিরঞ্জন স্যারের ক্লাসে আমি বই নিতে ভুলে যাই।স্যার ছিলো ভীষণ রাগী,বই না আনলে স্কেল দিয়ে হাতের উপর মারতো।স্যার বই চেক করতে আসার সাথে রানু ওর বই আমার সামনে রেখে স্যারের কাছে মার খেলো।ওর প্রতি আমার ভালোবাসা আরো কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিলো সেদিন।এভাবে কেটে যায় কয়েক বছর।আমরা ১০ম শ্রেণীতে উঠি। সেদিন টিফিনের সময় আমি চিপস খাচ্ছিলাম রানুকে নিজ হাতেই চিপস খাইয়ে দিচ্ছিলাম।আর ও তখন অন্য বান্ধবীদের বললো, “দেখছিস এই না হলে আমার বেস্টফ্রেন্ড”
পরের ২দিন আমি স্কুলে যায়নি আর রানুর সাথেও যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ফোন আসে এক ফ্রেন্ডের।সে আমাকে বলে, রানু নাকি আত্মহত্যা করে মারা গেছে কাল রাতে।রানুর বডি এখনো ওর বাসাতেই রাখা আছে।শেষ বারের মতো দেখতে চাইলে যেন এখনি রওনা দিই।