Skip to content

বুদ্ধির বলে

নীলাদের আম বাগানে
সন্ধ্যার সময় করে।
ঢুকেছি খুব গোপনে
ও পাশের প্রাচীর ধরে।।
দেখেছে নয়ন দুখান
ঝুলছে আমের থোকা।
গাছেতে উঠনু সটান
হইনি ভ্যাবাচ্যাকা।
যেইনা উঠনু গাছে
দিয়েছি হাত বাড়িয়ে।
দন্তে শক্তি আছে
খেনু আম ডালে দাঁড়িয়ে।
আমটি এক নিমেষে
যেইনা করনু সাবাড়।
ডালেতে বাগিয়ে বসে
পেড়েছি একটি আবার।
ডালটি উঠলো নড়ে
মৌয়ের এক চাক যে ছিলো।
আমাকে ধরলো উড়ে
গোটা দশ হুল ফোটালো।
অমনি চেঁচিয়ে উঠি
বুঝি এই গেলুম মারা ।
দারোয়ান আসলো ছুটি
পেল যেই আমার সাড়া।
আমাকে ধরলো বেটা
মুখেতে মারলো আলো।
গাছেতে খেলি কটা
আমাকে জিজ্ঞাসিলো।
দিয়েছে শুধুমাত্র
দাঁতেরা চিবিয়ে দুটি।
খাওয়াবো আমসত্ত্ব
দেখালো উচিয়ে লাঠি।
কি দোষ, মোর বলোনা
খেয়েছে উদর আমার।
শিখেছো বেশ ছলনা
বলে করে উদম প্রহার। ভাবিনু তখন মনে
করেনি মুই কিছুই চপল।
দেখিনু গাছের কোণে
পরে এক আস্ত ত্রিপল।
ঢিল ছিল মোর পায়েই ঠিকে
হাতে তে নিলেম তুলে।
ছুড়ে দিয়ে চাকের দিকে
ঢুকিনু ত্রিপল খুলে।
বেটা এবার তোর যে পালা
হাড়ে হাড়ে টেরটা পাবি।
ধরাবো মরন জ্বালা
শুধু তুই ছটকে যাবি।
অমনি সোঁ সোঁ করে
বেটাকে ধরলো ছেয়ে।
বলিনু ত্রিপল ধরে
বেটাকে দে কষিয়ে।
বাবাগো, মাগো বলে
দারোয়ান খাচ্ছে আছাড়।
আমিও ঢাকনা তুলে
কাছেতে গেলুম বাছার।
তাকালুম মুখের পানে
মুখটা পাল্টে দিছে।
ভাবিনু তখন মনে
লাগবি আর আমার পিছে।
এখানে থাক পরে তুই
মশাদের খাবার হতে।
এবারে যাই চলে মুই
সুখে তুই দিসনি খেতে।
বেঁচেছি বেরিয়ে এসে
ভয়েতে জড়োসড়ো।
জানিনু সর্ব শেষে
সবার চে বুদ্ধি বড়ো।

মন্তব্য করুন