Skip to content

বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত – সবুজ বন্দ্যোপাধ্যায়

বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত

ভোরের নরম সূর্যের পেলব ভালোবাসায়
দুই মল্লবীর মত্ত কুস্তির খেলায় ,
গভীর আবেগে লাস্যতায়,
চিদানন্দ হৃদকন্দরে,
প্রকৃতির অসম্মান ধরা পড়েছিল যার ক্যামেরায় ‘উত্তরা’র গতিপথ ধরে,পুরুলিয়ার মাঠে প্রান্তরে,
সেই চিত্রকর কবি বুদ্ধদেব আজ চলেছেন অনন্ত ‘দূরত্বে’র ওপারে,

একদিন দেখেছিলাম তাঁকে সাদামাটা পোষাকের আড়ালে নন্দনের কবি সম্মেলনে কবিদের ভিড়ে,
ভীরু লজ্জাবিনম্র হাবেভাবে মনের ‘জানালা’
খুলে, হাট করে,

প্রান্তিক লোকায়ত শিল্পী ও শিল্প, রঙে রূপে রূপায়িত ক্যামেরার তুলির আঁচড়ে ‘বাঘ বাহাদুরে’,

অসহায়তার মোড়কে সমাজ বদলের রূপকার দেহে মনে ব্যক্ত করে হতাশা ‘ তাহাদের কথা’র গুরুভারে,

নবীন ডাক্তার ঘরনীর মানসকক্ষে প্রবেশের অপারগতায়,একলা একা অপেক্ষা করে ‘লাল দরজা’ র উন্মুক্ততায়,

পক্ষী শিকারীর সন্তান লখা ‘চরাচরে’ ,মুক্ত বিহঙ্গের শিকার না- শিকারের দোটানায় পড়ে অসহায় বাস্তব কল্পনার ভাব ঘোরে,

স্বাধীনচেতা নারী আপন জীবন গড়ার লক্ষ্যে দেয় পাড়ি , বৃহত্তর নগরের আগুনে, পিতা মাতা সমাজের আবহমান ইচ্ছেয় প্রাচীর ভেঙে,’মন্দ মেয়ের উপাখ্যানে’,

বাঘের ‘টোপ’ তৃণভোজী, মানুষের টোপ লোভ,
টোপের ফাঁদে নতিস্বীকার, ভাবনায় বিক্ষোভ,টেনি স্রষ্টা এবং বুদ্ধ দুইয়ে মিলে এক
কি অসাধারণ চিত্রকর্ম,নয়ন মেলে দেখ,

বাচ্চু পেল’ উড়োজাহাজ’,যুদ্ধে ব্যবহৃত,সেই নিয়ে সে উড়বে নভতলে,স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলোর স্বপ্ন ভাঙচুর,শয়তান আর ভূত-প্রেত ছোঁয়া পেলে,

বাংলার সেই অশান্ত কাল ‘কালপুরুষ’ অমূল্য এক দলিল, ইচ্ছেমত দেখে নিয়ো মুক্ত হলে মহাফেজখানার খিল,

আর তো হবে না ‘ফেরা’,’অন্ধগলি’র দিক নির্ণয়ে,’স্বপ্নের দিন ‘গুলো আর তো পাবে না ‘মুক্তি’,ঝর্ণাধারায়,’নিম অন্নপূর্ণা’ র হাত বেয়ে,

এভাবেই কত ‘আনোয়ার কা আজব কিস্যা’ আর অসংখ্য অসাধারণ মানুষ ও প্রকৃতির ‘গৃহযুদ্ধে’ র কাহিনীর ‘গভীর আড়ালে’ , কবিতা মালার ছবি এঁকে ছবিওলা গেল অস্তাচলে,

তার দিন সমাপ্ত আজ ,হয়তো বা তারও মনন,
কেউ কেউ মনে রেখে দেবে,ভুলে যাবে অনেক অনেকজন,

এই তো নিয়ম ,আসা যাওয়া,স্মরণ-বিস্মরণ,
শুধু ওঁদের কল্পনার বিচরন অনন্যসাধারণ,
চলে যাওয়া সেও তো রাজার মতন…

/////১০/০৬/২০২১///////

মন্তব্য করুন