Skip to content

বিয়ে কি সামাজিক শোষণ- তাপস ঠাকুর

প্রতিটি জীবনই প্রজনন প্রকৃয়ার মধ্যে আবির্ভূত।
সামাজিক সম্পর্ক সৃষ্টির অনেক আগে থেকেই এই প্রজনন প্রকৃয়া চলমান।
মানুষেরা একদিন শিকার করে খেত,
মানুষেরা অসভ্য ছিলো,নানান রঙের সুতোয় বুনে আধুনিক জামা কাপড় তখন ছিলো না।
মানুষেরা একদিন গুহায় থাকতো,
মানুষেরা তখন অসভ্য ছিলো,
ভূ-মালিকানার রাষ্ট্রগুলো তখন জন্মগ্রহণ করেনি।
পুর্নিমা রাতে তখন মানব মানবীর প্রজনন উৎসব ছিলো। বিয়ে স্বাদীর বালাই তখন ছিলো না। মোল্লা-পুরুতের ধর্ম তখন ছিলো না।
মানুষ তখন অসভ্য ছিলো।
এখন সমাজ হয়েছে, ধর্ম হয়েছে, রাষ্ট্র হয়েছে,
মানুষ এখন সভ্য হয়েছে।
উৎসব মুখর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
মানুষ এখন রোবটিক্সের মাধ্যমে গাড়ি চালায়, প্লেন-রকেট চালায়, রোবট দিয়েই যৌন চাহিদা মেটায়। এখন একটি অবিবাহিতা মেয়ে উনিশ পেরুলেই সে পরিবারের দায়, আর ডিভোর্সী হলে তো সে পরিবারের কলঙ্ক!
মানুষ এখন সভ্য হয়েছে।
মানুষ তৈরি করেছে সমাজ, মানুষ এনেছে ধর্ম, মানুষ তৈরি করেছে রাষ্ট্র, মানুষ মানুষ কে রোবট বানিয়েছে।
বাহ, কত অগ্রসর মানুষের।
মানুষ মোঙ্গলে যায়,
কক্ষপথে ঘুর্নায়মান এই গ্রহ ছেড়ে,
লক্ষ লক্ষ ছায়া পথ পাড়ি দেয়-
কোটি কোটি আলোক বর্ষ দুরের জীবনের সন্ধানে।
মানুষ এখন সভ্য হয়েছে,
মানুষ হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষমতা।

মন্তব্য করুন