Skip to content

বিধবা এক নারীর গল্প________________এফ এইচ সজল।

  • by

কী দুঃখ জন্মনেয়
কী দুঃখ জন্মনেয়
ত্রিশর্ধো রমনীর সাদা পোশাকে হায়
ত্রিশর্ধো রমনীর নিরব জ্যোতির ভাষা হায়।

মাত্র সেদিন বিয়ের পিরিত পা ফেলিছে
মাত্র ক’টা বছর অতিবাহিত হতে চলিছে
হাঁটা চলা কথা সূলভ মেধা
বচন-প্রবচনক যেন মুছে যাইনি কিছুই
হাতের তালুতে নোখের ডগায়
পায়ের গোড়ালিতে যেন আলতা, মেহেদির রঙ
আজো লেগে আছে।
চোখের কাজলে কথা বলে
মাত্র ক’দিন আগেই বিবাহ পিরিতে হতে উঠে এসেছে।

মেয়েটির প্রাণচঞ্চল হাসি
মেয়েটির বন্ধু সূলভ কথা ভাষা
যেন বলেদেয় নিমিষে
এমন মেয়ে দশগুনে দশ পরিবারে খুব কমই জন্মে।

সবে বলে ভাগ্যের তীর
সবার কপালে আসেনা
ভাগ্যফুটে ভাগ্যবতীর কপাল গুনে
এমন ভাগ্যবতী মেয়েটি যে, ভাগ্যবান স্বামীও পেয়েছে।

সুখের সংসার
সুখের সূর্য সুখের চন্দ্র
সুখের তারকা যেন
মেয়েটির ঘরে আদ্রমেঘ কখনো ছুঁতে দেয়না।
হিমশীতল বাতাস
পশ্চিম গোলার্ধের রঙমহলের ঝিলিক
ঈশান কোণের সুদৃষ্টি
দখিনা বাতাসের উষ্ণ অভ্যর্থনা
যেন মেয়েটি জন্মের আগেই কপালে লিখেছে ঈশ্বর।

আসলে ভাগ্যবতীর চন্দ্র
ভাগ্যবান পুরুষের আকাশ হতেই আলোদেয়,
সেটি কেবল
ভাগ্যবান নারীই বুঝে
যে, তার জন্য এমন ভাগ্য দেবতা পুরুষ
ঈশ্বর নিজ হাতে তোলে দিয়েছে।
মেয়েটির সুখ বেশিদিন টিকলো না
হঠাৎ আকস্মিক দুর্ঘনায়
মেয়েটির দেবতা পুরুষ ইশতেহার দিয়ে
পাখি হয়ে উড়ে যায়
ওপরে সাত আসমান ভেদ করে ঈশ্বরের দরবারে
বিস্মিত হয়ে মেয়েটি সব
নিমিষেই হারিয়ে ফেলে
কোন কথা বলেনা। সব কথা যেন চোখে বলেদেয়
এজন্মে যেন এত সুখ কেউ না পায়।

যে তার অনুপস্থিতিতে
এতটা নিবির ভাবে নিপিড়ন করে।
মেয়েটি রোজ বারান্দার কোণে বসে
ডানাকাটা পাখি হয়ে শুধু আকাশের দিকে চেয়ে
রোজ তাকিয়ে থেকে মনেমনে বলে
তুমি পাখি হয়ে উড়ে গেলে
কেনো আমার ডানা গুলো ভেঙ্গে ফেলে রেখে গেলে।

বিধবা এক নারীর গল্প
এফ এইচ সজল

মন্তব্য করুন