Skip to content

বিদায় – কল্লোল সরকার

অন্তরাত্মা শুকিয়ে
তেত্রিশটা বছর কাটলো আমার প্রতীক্ষায়।
জ্যোৎস্নায় আচ্ছন্ন হয়ে আমি নির্বাক
তুমি আমার,
প্রেয়সী তুমি একান্ত আমার।
চোখে চোখ রেখে সানাইয়ের সুর
দোটানায় জীবনের রুক্ষপথে ছুঁতে গেলে স্মৃতিময় সবকিছু।
পাঁজরের ভেতরে ফুটফুটে মল্লিকা
বধিরের আস্তানায় হাতরে বেড়াই শূন্য থালা।
পুরীষে ঢেকে উল্টোদিকে ছুটে যাচ্ছি
নিষ্পলক স্বপ্নের প্রহরে সিক্ত ঝলকানি।
দেশটিপথে আশ্চর্য অবয়ব
আমার সত্তার তটে প্রেয়সীর প্রতিচ্ছা ছায়া।
হৃদয়ের কান্না ভেজা হৃদপিন্ডে ঘণ্টাধ্বনী
অন্তরের পটে মধুর আলিঙ্গনে দেহময় রক্ত জবা।
নিসর্গের মাঝে লুপ্ত যৌবন তরঙ্গিত
তুমিও যেন সদ্য প্রস্ফুটিত।
অকস্মাৎ তুমি বাঁকা চোখে তাকালে,
আস্তে-সুস্হে হেঁটে;
আধো আলো আধো ছায়ায় দ্বিধাহীন এসে চুমু খেলে।
যন্ত্রনা!
ব্যার্থতার অমানুষিক এক যন্ত্রনা।
ব্যার্থ প্রচেষ্টায় খুনি মস্তিষ্ক
বৃথা শান্তনায় খুন হয় মন।
হাহাকার ভেসে বেড়ায়,
অশান্ত মনে করুন চিৎকার
যেন বারবার শোনা যায়।
চলেছি,
আমি চলেছি নীলিমার গা ঘেঁষে
কেউ নেই!
নির্মম আবেশে সমাজ অস্পষ্ট;
নির্জন দিগন্তে কেউ নেই
তবে কি আমি…..
শূণ্য জীবন নিয়ে দিয়েছি পাড়ি?
শঙ্কিত শহরে উত্তপ্ত মরুভূমি
ভরসা পেলে অবলীলাক্রমে দেবো পাড়ি।
আমি ছেড়ে যেতে চাই,
আমি ডুবে যেতে চাই!
পৃথিবীটা যেন ছোট হয়ে আসছে।
কিছু একটা না পাওয়ার অভাবে
উত্তাল হাওয়ায় একটা গর্জন শুনছি
অসহায় মনে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে,
আধো আলো আধো ছায়ায় নিলাম শেষ বিদায়।

মন্তব্য করুন