Skip to content

বড় ছেলে – সুভাষ চন্দ্র দাস

কথাগুলো শুনতে খারাপ লাগলে ও প্রায় ক্ষেত্রেই কথাগুলো সত্যি
ভাত খাবার সময় আমরা শুরুতে অল্প অল্প তরকারি খাই যাতে শেষে আমাদের তরকারিতে টান না পড়ে। কিন্তু শেষে এসে দেখা যায় ভাতের তুলনায় তরকারি বেশি রয়ে যায় প্লেটে। যার কারণে তখন হয়তো ভাতের সাথে বেশি বেশি তরকারি মাখিয়ে খেতে হয় আর না-হয় ভাত শেষে শুধু তরকারি খেতে হয়।

বাবা-মায়েরাও ঠিক একই কাজ করেন।
তারা নিজেদের বড় ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করার জন্য পৃথিবীর সব কাঠিন্য তাদের মাথার ওপর চাপিয়ে দেয়। এরপর যখন বয়স বাড়ে তখন বোঝে সন্তানকে মানুষ বানাতে গেলে এতো কঠিন হতে হয় না তখন তারা নরম হয় আর এই নরমের সুবিধা ভোগ করে পরিবারের ছোটো সন্তানেরা।

বাবা-মায়ের বুঝ আসতে আসতে বড়গুলো ততোদিনে বোকা, চুপচাপ আর একঘেয়ে হয়ে যায়। আর অপরদিকে বুঝবান বাবা-মায়ের বদৌলতে ছোটগুলো বুদ্ধিমান, চালাক বাকপটুতে পরিণত হয়।

যদি প্রশ্ন করা হয়, সেক্রিফাইসের দিক দিয়ে কারা আগানো? উত্তরে আমি বলবো, পরিবারের বড় সন্তানেরা। যারা পরিবারে বড় হয়ে জন্মায় শুধু তারাই বোঝে কতোটা সেক্রিফাইস করতে হয় পরিবারের জন্য। একবুক নিরব যন্ত্রণা নিয়ে বড় হয় পরিবারের বড় সন্তানগুলো। তাদের ভেতরের আত্মচিৎকারের শব্দ তারা ছাড়া কেউই শুনতে পায় না,কেউ না এমনকি বাবা, মা ও শুনতে পায় না। হাসিমুখে সবকিছু মেনে নেওয়া সেই বড় ছেলেদের নীরব কান্নার শব্দ।

মন্তব্য করুন