Skip to content

বড়া-পলা ভৌমিক

তালগাছ নিয়ে লেখা সেই কবিতাটা অনেকেরই প্রিয়,
আমি জানি, রবিঠাকুর মনে মনে অনেকেরই হিরো।
সব গাছ ছাড়িয়ে আকাশে উঁকি মারতে চায়,
শুধু একপেয়ে তালগাছ নয়,দু পেয়ে মানুষ অনেকেই।
তাই তালের বড়া আমাদের নিয়ে চলে ছোটোবেলায়!
তালশাঁস খেতে কে না ভালোবাসে গরমে, তৃষ্ণায় !
খেতে গিয়ে হঠাৎ যদি তালের বড়ার মনে পড়ে যায় !
তাল তো এখনও কাঁচা, তাহলে কি হবে উপায় ?
দিন গোনা ছাড়া বুঝি আর কোনো গতি নেই।
কিন্তু একটু চিন্তা করে, বের করেছি এক উপায়,
তালের বড়া তো তালের রস দিয়েই বানানো হয়।
তার মানে এমন বড়া বানাতে, ফলের ঘন রস চাই,
আর একথা সবাই জানে যে, এখন আমের সময় ।
কিছু আম আছে গাছে, বাজারেও কিছু পাওয়া যায়,
আর আমের রস করতে, তালের মতো ঝামেলা নেই !
সুতরাং আর যাই হোক, সময় নষ্ট একদম নয়।
আতপ চালের গুড়ি,তেল,গুড় সব জোগাড় কমপ্লিট,
চিন্তা কি,সূর্যমূখী তেলে ভাজলে শরীরও রবে ফিট।
রান্না বান্না নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা বড়ই মজার খেলা,
তাই বলি,রান্না ব্যাপারটাকে,কোরোনা কো অবহেলা।
আমের বড়াগুলো দেখতে একদম তালের বড়ার মত,
গ্যারান্টি একদম, খেয়ে যে কেউ হয়ে যাবে থতমত।
ফলের গন্ধটাও আছে, কিন্তু এটা তালের বড়া নয়,
খেতে অনেকটা যেন তালের বড়ার মতই মনে হয় !
মনে আছে আমের আঁটিকে দিম্মা যে বলতো বড়া,
আগে অবাক হতাম ভেবে, কেন বড়া? সেই কথাটা !
দিম্মাগো খারাপ হয়ে যায়নি মোটে আমার মাথাটা !
খেলে তুমি বুঝতে, চোখ তোমার, হতোই ছানাবড়া!

মন্তব্য করুন