পিতামহ—
যখন আমি এক অন্ধকারে দাঁড়িয়ে
মানুষ আছে – উদ্দেশ্য নেই, আঁওয়াজ নেই
মঞ্চ নেই,শ্লোগান নেই, কেবলই শূণ্যতা।
অস্তিত্ব আছে – লক্ষ্য নেই, কোষ আছে ঘিলু নেই
আমার এই পরম ব্রম্মকে সাক্ষ্য রেখে
বেঁচে উঠলাম আবারও — !
হে মুহূর্ত আমাকে আনত করো
বিভক্ত করো, ভগ্নংশ করো ,ক্ষুদ্রাংশটুক ছড়িয়ে দাও
বৃহত্তর প্রাঙ্গণে !
পিতামহ–
আবারো নোয়ালাম — এই ব্যবধানে বর্ষিত হোক
ভেদাভেদ, আমাকে নামিয়ে দাও,জাগিয়ে দাও
জুড়ে দাও মহৎ আলোয় !
যখন প্রবল ধ্বসের সম্মুখীন আমি
তলিয়ে চলেছি অবক্ষয়ের গ্রাসে, একটিও তারা নেই
যখন নক্ষত্রের জাগতিক ভ্রম
চিরস্তব্ধ করে তুলছে সন্ধির আপাত সময়
দিনের আলোয় ঘনান্ধকার যখন, বিমূর্ত ছায়ায় নিজেকে লৌকিক মনে হয় ,কেবলই আগ্রাসন —-
রশ্মির বদলে উল্কার ,শৌর্যের বদলে ঈর্ষার
স্রষ্ঠার বদলে ভ্রষ্টাচার
সৃষ্টির বদলে ধ্বংসের আর সততার বদলে মিথ্যের !
পিতামহ —
আমাকে উজ্জীবিত কর ,উদ্দীপিত কর,
নিষ্কাম করে বিলিয়ে দাও
পার্থিব জনারণ্যের মহামন্ত্রে !