এই পথ আমার খুব পরিচিত।
এখানে আমার কয়েকশো বসন্তের কয়েক লক্ষ পদচিহ্ন
আজও ধুলো সরিয়ে দম নেওয়ার চেষ্টা করে।
কলিঙ্গ যুদ্ধের পর রক্তাক্ত শরীরে
এই পথ থেকেই আমি ফিরেছিলাম
পথ চেয়ে থাকা সেই তরুণীর বুকে।
সেই অভাগী আমার নিথর শরীর ঢেকে দিয়েছিলো
কৃষ্ণচূড়া আর ভোরের কদম ফুলে।
আজ আরও একবার এই পথ দিয়ে ফিরলাম ,
তবে মৃত নয় সশরীরে।
কিন্তু পায়ের তলায় পাড়ানো কৃষ্ণচূড়া অথবা
পড়ন্ত বিকেলের উগ্র কদমের গন্ধ
আজও একই রয়ে গেছে , ঠিক আগে যেমন ছিল।
এই পথ আমাকে তথাগতের হাত ধরে
মাধুকরী করে তুলেছে,
আমার উত্থানের দরজা বন্ধ রেখে
আমার পতন দেখেছে বারবার।
আমার নিরাশাকে সারাক্ষণ চোখে আঙুল দিয়ে
অপদার্থতাকে জাগ্রত করে তুলেছে।
কিন্তু তবুও এই পথের কাছে আমার অনেক ঋণ।
এই পথে আজও
সেই অভাগী আমার পথ চেয়ে বসে আছে ।
সে বসে আছে আমার সাথে কাটানো
প্রথম বসন্তের হলুদ গাঁদার ছোপ বুকে নিয়ে।
আমি বহুবার তাঁর সঙ্গ ছেড়েছি ,
কিন্তু সেই ছোপ ধরা ওড়না তাঁর সঙ্গ ছাড়েনি।
এই পথই আমাকে বুঝিয়েছে
আমার উত্থান নেই ,শুধু পতন রয়েছে ,
আর রয়েছে আমার অপেক্ষাকারী একটি অভাগী।