Skip to content

নিরুদ্দেশের মা – আজিজুল হক

নিরুদ্দেশের মা
©আজিজুল হক

যখন আমি একলা থাকি;
মিছিলের স্লোগান গুলো
আমার নিঃসঙ্গ রাতের সঙ্গী হয়!
মৌনতার যন্ত্রণা গুলো সিঁড়ি বেয়ে উঠে নবান্নের অলিগলিতে।
একটা স্বপ্ননীলের উলংগ রক্তে ভেজা শরীরে পরীক্ষা হয় পুরুষত্বের!
বাংলা একাডেমিতে তখন কবিতা পাঠে ব্যস্ত হয়ে পড়েন
সুবোধ বালকের লেজুড় বৃত্তিধারী কিছু বুদ্ধিজীবী!
শহরের অলিগলিতে চাষ হয় আরও কবিতার!
চেতনারা
নেমে আসে ধীরে ধীরে;
মিছিলে ফেরে আবার রাজপথ!
কারা এরা ?
আমাদের প্রতিনিধি!
তাদের চামড়ায় লেগে আছে রাজনৈতিক বেশ্যাবৃত্তির ছাপ।
এর চেয়েও তো ওরাই ভাল ,
যারা নিজের দেহকে পুঁজি করে পেট সামলায়।
অমাবশ্যা নেমে আসে আরও গভীরে ,
চেতনাগুলো ছাপ ফেলে শুধু মিডিয়ায়!
নিষিদ্ধ সম্পর্ক গুলো ঢাকতে দল পালটানো নেতারা বিপ্লবী হয়ে উঠেন দ্রুত।
চেতনাগুলো তে কিলবিল করছে গোবরে পোকা !
আমার একলা রাতের নীল লোহিত প্লাবন ভেঙ্গে-
মিছিল গুলো উত্তাল হয়ে উঠে ক্রমশ..
স্বপ্ন গুলো সাঁতরে বেড়ায় সমুদ্রের নোনা জলে ।
মাছরাঙা ডুব দেয় বারবার,
তার আধার হয়ে উঠে স্বপ্ননীলের অগ্রজ ,অনুজদের বেঁচে থাকার শেষ প্রয়াস টা!
বিরামহীন জেগে থাকা রাতে
তখন
রুপালি চাঁদের আলোয়
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,
একদল হিংস্র দানব মানুষের রূপ ধরে মিছিলে হাঁটছে,
ইস্যু স্বপ্ন গুলো, আর একটা মৃতদেহ!!
লক্ষ্য আসলে মসনদ।
রোজ সকাল – সন্ধায় মিডিয়ার সামনে বসে টি আর পি
বাড়াই আমরা,
আয় বাড়ে মিডিয়ার!
মাঝরাতে চাঁদের সেই মুহূর্তে
তারার সঙ্গে প্রেমালাপ,
তখন
নির্বাক হয়ে আমি পরখ করছি,
নৈসর্গিক সেই মিলনের দৃশ্য
জোনাকির মতো আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিচ্ছে হারানো যৌবনেরা..!
আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি চাঁদ তারাদের কথোপকথন।
প্রতিশ্রুতি গুলো ক্রমশ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে উঠছে!
তারারা বুকে টেনে নিচ্ছে চাঁদকে স্নেহ মমতায় ..
নিঃশব্দ রাত যেন প্রাণময় হয়ে উঠেছে !
আমি জেগে উঠছি …
কামারের হাতুড়ি পেটানো শব্দের কষাঘাতে
মুর্ছা যাচ্ছে মিছিল গুলো।
ততক্ষণে মোমবাতি নিয়ে পথে নেমেছে গ্রহানুপুঞ্জরা!
আঁতুর ঘরের মেয়েটা তখন পৃথিবীর সব থেকে বেশি যন্ত্রণা সয়ে
জন্ম দিচ্ছে
আর একটা মিছিলের মিলনের পূর্ব-মুহূর্ত গুলো।
©আজিজুল হক
১৯/৮/২৩

মন্তব্য করুন