আমি ধরা পরে যাই ভ্রষ্ট ব্যাখায়
নদীর কী আদতেই কোনো নাম হয়?
তবুও ট্রামলাইনে এসে থেমে যায়
ক্লান্ত ধানসিঁড়িটি।
যার পাথর কপাটে দুহাত করেছি রক্তাক্ত
সে আকাশ পর্যন্ত দেয়াল তুলে
পাতালপুরিতে নৈশব্দের পতন শোনে অবিরত।
যে নদীতে ডুবেছে কাঁকন, ভেসে গেছে নিভৃত অলকানন্দা।
তার পাশে দেখি অগণিত ভাঙনের জন্ম, দুঃখের নব অবতার।
হৃদয়ের ভাঙন তবু আগলে আছে এক মহামতি অশ্বত্থ
কী এক আশ্চর্য আলোয় ফিকে হয়ে আসে মগজের প্রগাঢ় অন্ধকার।
বিগত সকল কিছু এক নির্মম কৌতুক,
আগুন, নদী, মানুষ, স্মৃতি ও মাটি যদিও সর্বভুক
তবুও অপমানিত শুধু আমি, ছত্রাক আর শকুন।
যদিও শুকনো স্মৃতির ডাল পাতা নেহাৎ কম,
তবুও ধোঁয়াটে আঁচে তারা ভাত রাঁধে
শালপাতায় সাজে, ধোঁয়া ওঠা নব্যপ্রেম।
ভাঙছি রোজ, শেয়াল শকুনের একছত্র ভোজ,
তবুও এসব ভাঙনের চিহ্ন পর্যন্ত আমি রাখব না,
পুড়িয়ে দেব ঐসব ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য,
কাকতাড়ুয়া হয়ে বিনিদ্র রজনী জেগে থাকব
জীবনের রক্তসুবাসী কাদামাটিতে অধিষ্ঠিত করব আমার দৃশ্যদেবীকে
সমুন্নত প্রবল আবাদের মাঠে।