Skip to content

ত্যাজ্য- কল্লোল সরকার

নিজের বিষন্ন ছায়ায় অকস্মাৎ ব্যাথিত
অনিন্দ্য কুসুম ঝরে,
মসৃণ ত্বকে বিদঘুটে কান্নার ছাপ।
নিশ্চিহ্ন পদধূলিতে জীবন ঊর্মিল
বিলুপ্তির বিস্মরণ
দুর্বিপাকে কামনার উম্মাতাল ঝড়।
কঙ্কাল বাসরে আলো জ্বেলে প্রতীক্ষায় প্রেয়সী
কিন্তু,
মৃত্যুর পথে এগিয়ে আমি হয়েছি বিলুপ্তি।
ক্ষিপ্র শব্দ গেঁথে একটা কবিতা লিখেছি
নিঃসাড় হাড়ে আমি তখন উদাসীন।
স্বপ্নহীন দীর্ঘ বারান্দায় মৃত্যু গন্ধি প্রসাধনে আমার মুখচ্ছবি বদলে দিও না
মুখোশ হীন আমি এমনিতেই বদলে গেছি।
নিঃশব্দে বেড়াতে যাবো!
ঈষৎ ধ্বনিতে হবে মুখরিত।
কি সহজেই ওষ্ঠ সিক্ত হয়,
আমাকে জড়িয়ে গীতধারা বয় শিরায় শিরায়!
কিয়দ্দুরে দেখাযায় ভয়ঙ্কর বন,
ধোঁয়াশায় উচ্ছ্বসিত লুপ্ত উর্ণাজাল।
কবির ছন্দের আন্দোলনে জন্মান্ধ পাতালে
মেঘমালা ছুঁয়ে ভাটিয়ালী সুর তোলে।
তন্ময় চোখে রাতজাগা ক্লান্তির শোক
প্রেয়সীর মনে পড়ে বকুল কুড়ানো সেই ভোর,
তবুও,
ঘুমায়ে আমি চির নিদ্রায় ঘাসের গুচ্ছে
প্রয়সীর কান্নার আওয়াজ ভেসে যাবে নির্জন আকাশে বাতাসে।
বিষন্ন জীবনের স্নিগ্ধ মালাবারে,
ত্যাজ্য করে এগিয়ে চলেছি আমি শান্তির বৈতরণী নায়ে।

মন্তব্য করুন