Skip to content

জীবন পাতা-পলা ভৌমিক

জীবন পাতার প্রতি পাতায় লেখা থাকে কত কিছু,
দুটো নিস্পাপ, নির্মল চোখের দৃষ্টি খুঁজতে, খুঁজতে,
হেঁটেছি অনেক পথ,বহুদূর,কতজনের যে পিছু পিছু !
হঠাৎ আচমকা ফিরে তাকিয়েছে হয়তো কেউ কেউ,
দৃষ্টি দেখেই, আমি ওখান থেকে শিগগিরই উধাও !
খুব দামী, তবুও খুঁজি , কি আর করি, অমূল্য জানি,
যেন দৃষ্টি নয়, আমার গতজন্মের হারানো পরশমণি।
আসলে নিজের মনে মনেই বোধ হয় সোনা হতে চাই,
ভেতরটা সোনার হোক, বাইরে না হয় থাকুক ছাই।
এতে যদি পুড়ে খাক হতে হয়, কোনো ক্ষতি নেই।
সোনার বরণ কন্যে হবার নেই কোনোরকম সাধ,
শিবঠাকুরও নিজেকে সদাই ছাইতে ঢেকে রাখেন,
ছাইপাশ কথা নিয়ে, করেন না কোনো বাদানুবাদ।
নীরব থাকতে ভালোবাসেন, অপছন্দ ঝগড়া বিবাদ!
সরাসরি কারো চোখে যখন কখনও আমি তাকাই,
কেউ হয়তো ঔদ্ধত্য ভাবেন,আমার কিছু করার নেই।
আমাকে তো সেই নিস্পাপ, স্বচ্ছ দৃষ্টি খুঁজতেই হবে,
অযথা চিন্তা করলে চলবে না যে কে কি ভাববে !
আসলে একটা ধারণা গড়ে উঠেছে নিজে থেকেই,
তেমন দৃষ্টির সামনে একবার সরাসরি তাকালেই !
আমার নিজের দৃষ্টিটা হয়ে যাবে ঠিক স্বচ্ছ ততটাই ।
তখন একটা মানুষের জীবনের আছে যতসব কথা,
সুখ-ব্যাথা, যত্নে আছে রাখা জীবনের পাতায় পাতায়,
হয়তো আছে সেসব কোনো অদৃশ্য কালিতে লেখা!
তবু একবার তাকালেই পড়তে পারবো পুরো বইটাই।
জীবনের গল্প, জানি, সকলের পক্ষে লেখা সম্ভব নয়,
ক্ষতি কি, যদি সেই সব গল্প পড়া হয়ে যায় এভাবেই !

মন্তব্য করুন