Skip to content

চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহিকে নিয়ে কিছু কথা – মোঃ ইব্রাহিম হোসেন রাজশাহী

চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহিকে নিয়ে কিছু কথা:
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন রাজশাহী
রচনাঃ ৩০-১২-২০২৪ ইং শনিবার।

আমাদের এলাকা গোদাগাড়ী তানোর রাজশাহী -১ আসনের মহিলা স্বতন্ত্র প্রার্থী “চিত্র নায়িকা শারমিন আক্তার নীপা ওরফে মাহিয়া মাহি।”

জানি, অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন আমার এ স্ট্যাটাস দেখে। তবুও সত্য কথা বলতে কোনো দ্বিধা নাই।

যেদিন থেকে প্রথম জেনেছি চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি আমাদের চাপাইনবয়াবগঞ্জের অধিবাসী, সেদিন থেকেই তাকে আমার ভালো লেগে যায়, তার প্রেমে পড়ে যাই, তাকে ভালোবেসে ফেলি এই ভেবে যে, আমাদের এলাকার একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রী আছে। তার মানে এই নয় যে একজন প্রেমিক হিসেবে প্রেমিকার ন্যায় ভালোবাসি। মানুষ হয়ে মানুষকে যতটা ভালোবাসা প্রয়োজন, ঠিক তদ্রূপ। পছন্দ করি ঠিক আছে, তবুও আজ পর্যন্ত আমি মাহি অভিনীত একটা সিনেমাও দেখিনি।

কিন্তু তবুও মনে একটা আফসোস হয় তখন, যখন তার কিছু অশালীন চিত্রগুলো চোখের সামনে ভাসে। যখন তাকে নিয়ে মানুষ অকথ্য ভাষায় কথা বলে।
দুঃখ হয়, মেয়েটা এমন না হয়ে যদি চিত্র নায়িকা শাবানার মত ভালো অভিনেত্রী হত, তাও আমার দেশের, আমার এলাকার একটা সুনাম হত। আল্লাহ যেন তাকে হেদায়েত দান করেন।

আল্লাহ আমার দোয়াটা তার জন্য কবুল করেছেন কিনা জানি না। কিন্তু এখন তার চাল-চলন, আচার-আচরণ শুধু আমাকেই নয়, সারা বাংলাকে মুগ্ধ করেছে। কারণ, এখন তার চলাফেরা খুবই সন্তোষজনক, অমায়িক বলেই মনে হয়।

চলচ্চিত্রের একটা খারাপ মেয়েকে যখন চলচ্চিত্রের কোনো নায়ক না, কোনো প্রযোজক না, বরং তার অতীত জীবনের সব কিছু জেনেশুনেও  জনসাধারণের কোনো একজন তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে নেয়, আমি মনে করি তখন সে বিশাল মহত্ত্বের পরিচয় দেয়। সে সুবাদে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহি’র স্বামীকে জানাই সাধুবাদ  ও মোবারকবাদ। দোয়া করি তাদের দাম্পত্য  জীবন সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে উঠুক, হহোক দ্বীনের আলোয় আলোকিত পুরো পরিবারসহ সবাই। তাদের সহ আল্লাহ আমাদের সবাইকেও যেন হেদায়েত দান করপন এবং তাদানুযায়ী বাকি জীবন অতিবাহিত করার তাপ দান করুন – আমিন।

যাইহোক শেষে বলতেই হয়, এখন সে অতীত ভুলে বর্তমানে জনসাধারণের সেবায় যেভাবে মাঠে নেমে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় পায়ে হেঁটে হেঁটে মা বোনদের কাছে, অভাবী দুঃখীদের কাছে জনসেবার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে। করছে মা বোনদের সাথে মোলাকাত ও কোলাকুলি। এতিম শিশুদেরকে পাতে ভাত তুলে দিচ্ছে, যা আপনারা সবাই দেখছেন ভিডিও ফুটেজে। এমন কয়জন নেতা বা নেত্রী মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সশরীরে ভোট চায়? হাতে হাত মিলিয়ে মোলাকাত করে, কয়জন করে কোলাকুলি?  অনেক প্রার্থী মোবাইলে মেসেজ দিয়ে বলে, “সশরীরে উপস্থিত হতে না পেরে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনার মূল্যবান ভোটটি আমার অমুক প্রতীকে দিয়ে আমাকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন।”  অন্ততপক্ষে সেদিক দিয়ে চিত্র নায়িকা মাহিয়া মাহিকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।

আমাদের একটা কথা মনে রাখতে৷ হবে যে, “গতস্য শোচনা নাস্তি” অতীতকে ভুলে যাও। সে বর্তমানে কি অবস্থায় আছে, তার সেই হালহকিকত দেখো।
আমরা সবাই নিজামুদ্দিন আওলিয়ার নাম শুনেছি।
তিনি জীবনে এমন কোনো খারাপ কাজ ছিলো না যে, তা করেন নাই। অবশেষে নিজের পাপের কথা স্বীকার করে, অনুতপ্ত মহান রাব্বুল আলামিন এর কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং মহান আল্লাহ তায়া’লার একজন খাঁটি বান্দা বা ওলিতে পরিণত হন।

আশা করি মাহিয়া মাহি তার অতীত জীবনের ভুল বুঝতে পেরেছে। তার বর্তমান হিজাব পরিহিত অবস্থায় চলাফেরা এলাকার সকলকেই মুগ্ধ করেছে। সে এখন গোদাগাড়ী তানোর রাজশাহী – ১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি পদপ্রার্থী। মার্কা ট্রাক।
তার অতীতকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাকে কটাক্ষ করে অশালীন ভাষা প্রয়োগ করা কোনো বিবেকবান মানুষের কাজ হতে পারে না। এটা অনৈতিক ও অমানবিক নিষ্ঠুর মানসিক নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। তাই আসুন, আমরা অতীত না দেখে তার বর্তমান কীর্তি যশ দেখে বিবেচনায় আনি। ভোট দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণ আপন আপন ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাই বলে তাকে সরাসরি আঘাত করা মানবতার পর্যায়ে পড়ে না।

আমরা সবাই মানুষ। আর মানুষ মাত্রই ভুল হয়, এটাই স্বাভাবিক,  অস্বাভাবিক এর কিছুই না। কিন্তু যখন সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে তওবা করে সঠিক পথে অগ্রসর হয়, হতে চায় তখন আমাদের সকলেরই উচিৎ তাকে উৎসাহিত করে অনুপ্রেরণা দিয়ে সাধুবাদ জানানো। এটাই একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে মানুষের মানবতার লক্ষ্মণ।

আসুন, আমরা মানুষ হিসেবে মানুষকে ভালোবাসতে শিখি। পাপকে ভুলি, পাপীকে নয়।
কারণ, পাপ তো পাপ-ই। যা সবসময় ঘৃণার যোগ্য। কিন্তু পাপী সবসময় ঘৃণার যোগ্য নয়। জীবনের পাপতাপ, গ্লানি মুছে ফেলে আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দা বা বান্দিতে পরিণত হওয়া সম্ভব।
আমরা পাপকে ঘৃণা করবো, কিন্তু পাপীকে নয়।

মন্তব্য করুন