শকুনের চোখ পরছে যে গায়
পরছে ফসল মাঠে,
আঁকা বাঁকা মেঠো পথে
সাহেব বাবুরা হাটে।
সবুজ শ্যামল ‘গা’ যে আমার,
ছোট ছোট বাড়ি,
ঐখানে আজ ধুলো উড়ে
চলে রঙিন গাড়ি।
সারি সারি বাড়ি ছিল
ছিল গাছের বাগান,
পুকুর ভরা মাছ ছিল
গোলা ভরা ধান।
নদী ভরা জল ছিল
গাছ ভরা ফল,
মাঠ পেরিয়ে যেতাম দূরে
খেলতাম দুপুর ভর,
প্রতিবেশী সবায় আপন
কেউ ছিল না পর।
সময় গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে
আসতাম ফিরে ঘর।
পড়ার টেবিলে কাটতো সময়
উঠতো পড়ার ঝড়।
সবায় মিলে চলতাম সদা
ভাবিনি তো পর।
ভোর হলে ফোরকানিয়ায়
চলতো আরবি পড়া,
বেশি সময় গড়িয়ে গেলে
স্কুলেতে যেতাম নাওয়াখাওয়া ছাড়া।
এই ভাবেই কাটতো আমার
শৈশব ছোটকাল,
কালের বিবর্তনে, নদী যে শেষ
হচ্ছে ছোট খাল।
মাঠে এখন ফসল যে নাই
সাইনবোর্ডে ঠাসা,
কবুতরের বাসার মতো
গড়ে উঠছে বাসা।
আজিকার ছেলে মেয়েরা
বাসায় থাকে দিনভর,
পাড়া-পড়শী চিনে না সে
কে আত্নীয়, কে আপন পর।
বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়
চিনে শুধু ঘর,
বিয়ে করলে বউকে চিনে
বাবা মা হয় পর।
অলস সময় পার করিতে
নেইতো খেলার মাঠ,
যেখানে খুশি, যে ভাবে খুশি
কাটায় দিন-রাত।
আধুনিকতার ছোয়া এখন
লাগছে গ্রাম-গঞ্জে,
শহর এখন হার মেনে যায়
গ্রামের ছন্দে।