এ এক পরম আশ্চর্য পিতা!
তোমার নাম উচ্চারণেই
বুকের ভেতর আন্দোলিত হয়ে ওঠে অহঙ্কার।
শ্রদ্ধায় আনত হয় শির।
আর গর্বে বলে উঠি-
আমি বাঙালি,
বঙ্গবন্ধু জনক এ বাঙালি জাতির।
শতবছর আগে একটুকরো সূর্য হয়ে এসেছিলে
মা সায়েরার ঘরে।
সেই আলো শতবছর পরে
সহস্রগুণ তেজস্বী হয়ে পথ দেখাচ্ছে যে অন্ধকারে।
তবু পিতা-
কখনো কখনো শঙ্কায় আর বেদনায় হই স্থবির।
মুর্খ বানর আর দাঁতাল শুয়োরেরা করে চিৎকার।
অস্বীকার করে তোমায়,বদলে দিতে চায় ইতিহাস
নাম মুছে ফেলতে চায় তোমার, রুদ্ধ করে দিতে চায় দ্বার সত্যের-
কালিমা ঢালে স্বাধীনতার বুকে।
ঘৃণায়, ক্রোধে আর আক্রোশে
রক্ত ছোটে শরীরের প্রতিটি শিরায়।
নিমেষেই ধ্বংস করে দিতে ইচ্ছে করে শ্বাপদের আখড়াগুলো।
টেনে ছিঁড়ে দিতে ইচ্ছে করে বিষজিহ্বা।
আবার করুণা হয় এই ভেবে-
পিতাহীন জারজেরা সব
স্বীকার করে নিজমুখে আপনার নির্লজ্জ বয়ান।
ক্ষমা চাই পিতা-
আজো কলঙ্ক ঘোচেনি জাতির।
‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে কণ্ঠ এখনো মেলেনি
এই বাংলার সব বাঙালির।।
—————————————