Skip to content

কুমারীর কান্না–রমেন মজুমদার

কুমারীর কান্না
[যেজন প্রেমের ভাব জানেনা-৬৪]
————
রমেন মজুমদার, 02/09/22

আসছে ধেয়ে নদীবেয়ে স্রোতের মুখে উগ্র গ্রাস!
পাকিয়ে,নাড়িয়ে, রক্তটুকু চোষার শর্তে করে ত্রাস।
রোজকার হাপিত্যেস! আগুন লাগে!বাজার দরে;
হেঁসেল শূন্য গ্যাসের কামুড়!ঘরণীরা কী যে করে।।

অসমাপ্ত মরণঅগ্নি! কুণ্ডুলিকা জলের পাঁক,
বিষাক্ত পায়চারি;কান্না বিরহের!নদীর কত বাঁক;
লগ্ন-তিথি দুলছে দ্রোহে;অভিমানীর তিক্ত জ্বালা!
তীর ভাঙা ঢেউ বুকের মধ্যে; কণ্ঠে তুলে বিষ মালা।।

ধ্যান ভাঙ্গেনা মহাজনের,গুনছে কড়ি; ধান চিটা শীষ;
তিথির কোলে মাথা দিয়ে লগ্নভ্রষ্টা মুখে যে বিষ!
রোজই ঝরে অশ্রুনারীর; বাড়ছে না নদের জল,
তীব্র হাহাকার!শূন্যের মধ্যে শূন্য, বিরহের ওঠে ঢল।।

এ’কোন বিশ্বের অধম প্রেম!অলকধামে করে গীত;
স্বনামে সব প্রণতি দেয়,উবুর হয়ে করে সঙ্গীত।
খেঁচর ডাকে রাত দুপুরে;নারীর বুকে হুতাশন!
কুমারীত্ব,কন্যার অশ্রু !স্বপ্নভাঙে কষ্টের ক্ষণ।।

ফিরলে লগ্ন ধন্য আঁখি,ভোরের ঊষা সূর্য হাসি,
বিগ্রহ দান ব্রহ্মমন্ত্রে;বিদায় বেলা ফুল যে বাসী!
দারুণ কষ্ট! নষ্ট জীবন!বরুণ জ্বালা অঙ্গে সয়;
উত্থালে ঢেউ !দ্রোহের সাঁতার!সর্ব অঙ্গ চিত্তময়।।

ঈশ্বর কয়,রূপ সে দিলাম;দিলাম মধুর সময় গড়ে,
মনমোহিনী আদি-অন্ত;চাঙ্গা করে স্বপ্ন ধর’রে;
মানস পটে চিত্র এঁকে দিলাম ব্যথা ভালেতে গড়ে!
কালকুহুরে কালান্তর! চরম জ্বালার চিত্র ধরে।।

সঁপিলে আজ যার চরণে,আত্মযৌবন মনেপ্রাণে;
বলাকার ঠোঁট মিলবে ঠোঁটে জলের ধারা তর্পণে।
খুলবে বেণী,দুলবে বায়ু;হতবিহ্বলী একাঙ্কিনী–
আঁকবে ঈশ্বর রক্তছবি! পর্দা খুলবে বীর সঙ্গিনী।।

ঘুমার্ত রাত, ধর্ম ভীরু;অশ্রু ভেজা তাজমহল;-
ব্যথারগীতি লিখে কবি; স্বপ্ন ভেঙ্গে করে হট্টগোল!
নুন আনতে পান্তা শেষ;নাভিশ্বাসে হেঁসেল দুলে;
অশ্রুজলের সিক্ত ধারা,বদঅভ্যাসী বসন খুলে।।

ব্যত্যয় ব্যথা!প্রেম ব্যর্থতা!ভাগ্য নারীর রান্নাঘর!
কুমারীর কান্না উর্ধমুখী, দ্রব্যমূল্যের বাজারদর!
প্রেম কী কভু সুখী হয়? অভাবের সুখ নিত্যসঙ্গী!
কবির কাব্য মাথামুণ্ডু বুঝলে পাঠক অঙ্গ ভঙ্গি?।।

**** সমাপ্ত*****

1 thought on “কুমারীর কান্না–রমেন মজুমদার”

মন্তব্য করুন