তিনি সুন্দর মানুষ যিনি সুন্দর করে কথা বলেন, আর সুন্দর করে তো সেই কথা বলেন যাহার হৃদয় সুন্দর, আর হৃদয় যাহার সুন্দর তিনি সর্বদাই একজন সুন্দর মানুষ ।সুন্দর মানুষ হওয়ার শ্রেষ্ট এবং উত্তম সময় এই কলেজ জীবন ।
স্কুল কি? স্কুল কেনই বা যেতে হয়? শিক্ষার প্রয়োজন কতটুকু? শিক্ষা কাকে বলে? এসব কিছু পুরোপুরি বুঝে ওঠার আগেই একজন মানব শিশুর প্রাইমারি স্কুল জীবন শুরু হয় পিতা-মাতার হাতের আঙ্গুল শক্ত করে ধরে ।সেই মজার ছলে খেলার ছলে কেটে যাওয়া স্কুল জীবনেও শিশুটির মনে কাজ করে একধরনের অপেক্ষা, উদ্দীপনা ও অস্থিরতা ।সেই প্রাইমারি স্কুলের পাশে থাকা মাধ্যমিক স্কুলটির দিকে তাকিয়ে একজন মানব শিশুর মনে বারবার উঠে ‘কবে আমি ঐ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী হবো! কবে শেষ হবে এই প্রাইমারি জীবন!’ তার পর যখন সময়ের ব্যবধানে প্রাইমারি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে তখন আনন্দের সাথে মাধ্যমিকের চৌকাঠে পা রাখে নবাগত শিক্ষার্থী অর্থাৎ একজন মানব শিশু ।আর মাধ্যমিক জীবন শুরু হওয়ার মধ্যদিয়ে তার ভিতরে একধরনের ভালোলাগা কাজ করে এই ভেবে যে, সে এখন মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী সে এখন ষষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ে ।এবং এরখম ভালোলাগা কজ করতে করতেই কেটে যায় দু-তিন বছর ।তারপর য়খন সেই শিক্ষার্থী নবম-দশম শ্রেনিতে অধ্যায়ন শুরু করে তখন যেনো তার মনের আধো আধো ধোয়াটে স্থিরতা অস্থিরতায় রুপান্তরিত হয়ে ওঠে ।ঠিক যখন তার চোখে পড়ে কলেজ গামী শিক্ষার্থীরা কলেজ ড্রেস পড়ে কলেজের পথে যাত্রা করছে তখন যেনো তার মনে বারং বার উঠে আসে যে, কবে শেষ হবে এই মাধ্যমিক জীবন?এই দীর্ঘ দশ বৎসরের স্কুল জীবন যেনো আর ভালো লাগেনা ।কবে দিব এ্সএসসি? কবে আমি এই এসএসসি কে ডিঙ্গিয়ে পা রাখবো কলেজের চৌকাঠে? কবে?
জীবন যে একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া আর সেই প্রক্রিয়ার অন্যতম বিশেষ পাঠ হচ্ছে সু-দীর্ঘ পাঁচ বছরের এই মাধ্যমিক পর্যায় তা যেনো মানতে নারাজ হয়ে ওঠে নবম-দশম শ্রেনিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ।তারপর ধীরে ধীরে কটে যায় দিন কেটে য়ায় বছর শেষ হয়ে যায় মাধ্যমিক জীবন । এসএসসি কে ডিঙ্গিয়ে তিন মাস অপেক্ষার পর হাজারো আশা সহস্র স্বপ্ন নিয়ে হাজির হয় একজন শিক্ষার্থী কলেজের চৌকাঠে ।কলেজ জীবন শুরু হওয়ার মধ্যদিয়ে তার মন প্রসস্ত হতে শুরু করে হয়ে উঠতে শুরু করে একজন মানব শিশু সামাজিক মানুষে ।
আর এই সময়ই সবার মনের প্রজাপ্রতি নতুন রং মেখে জেগে ওঠে, মনের ময়ূর ডানা মেলা আরাম্ভ করে ।কলেজ জীবনে অনুভূতিতে পরিপূর্ণ থাকে প্রত্যেক শিক্ষার্থী মন ।এ সময় তারা যে দিকেই তাকায় সব কিছুই যেনো তাদের অনুপম সুন্দর মনে হয়, কারন এ সময় তাদের আবেগ ময় সময় । কলেজ জীবন সব থেকে ক্ষুদ্রতম সময় জীবনের ।শ্রেষ্ট সময় এই কলেজ জীবন ।কলেজ জীবনই উপযুক্ত সময় স্বপ্নের সঠিক বীজ বোনার ।মূল্যবান সময় এ কলেজ জীবন ।তবে সাবধান সব থেকে ভয়ঙ্কর সময় এই কলেজ জীবন ।এই ক্ষুদ্র কলেজ জীবনের সময়কালে করেফেলা একটি ভূল তোমাকে সারাটা জীবন কাঁদাতে পারে, তোমার জীবনের সরল পথ ভেঙ্গে দিতে পারে । এ সময় আবেগে ভরা অনুভূতিতে জেগে ওঠা তোমাদের নোরম কোমল মনে রঙ্গিন উত্তাল মাতাল হাওয়া দোলা দিবে । তবে সাবধান এ রঙ্গিন উত্তাল মাতাল হাওয়ায় তোমাদের হালকা মনকে ভাষিয়ে দিওনা যেনো ।এই দুষ্ট মাতাল হাওয়া তোমাদের নিয়ে ফেলবে অজানা অচেনা কোনো দুর দ্বীপে । হয়তো পারবেনা সঠিক সময়ে সেখান থেকে ফিরতে পারবেনা সময় থাকতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌচ্ছাতে ।সময়ের আগেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে তোমার জীবন ।
আমার মনে হয় জীবন একবার ফসল উৎপাদনকারী একখন্ড চাষ যোগ্য জমির ন্যায় ।আর জীবনের সেই জমি নির্ধারণ করা হয় অবুজ থাকা অবস্থায় পিতা-মাতার হাত ধরে প্রাইমারি স্কুলেই ।এবং সেই জমি চাষ যোগ্য করে গড়ে তোলা হয় মাধ্যমিক পর্যায়ে ।যা তোমরা ইতিমধ্যেই নির্ধারণ করে ফেলেছ ।আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে এই কলেজ জীবন ।এই কলেজ জীবনেই সেই জমিতে উপযুক্ত ফসলের বীজ বাচাই করে রোপণ করার সময় ।তবে সাবধান এ সময়ে আবেগে ভর করে, বেখেয়ালী হয়ে, অনমনা হয়ে, অলসতা করে মাকাল গাছের বীজ রোপণ করিওনা যেনো সোনা ফলা ধান গাছের বীজ মনে করে ।কেননা তুমি যতই সোনার ধানের আশা করো আর পরিচর্যা করো না কেনো ভূলোক্রমে যে মাকাল গাছের বীজ রোপণ করেছো ফলটা তারই হবে ।
তাই সচেতন হয়ে শক্তি রেখে সাহস সঞ্চয় করে সামনে পা রাখিও, শুধু সফলতাকে নয় সার্থকতাকে লক্ষ্যে রাখিও ।জয়ী তুমিই হবে ।
আমি অথই মিষ্টি । আমি আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের ক্ষুদে অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে লেখার চেষ্টা করেছি “কলেজ জীবন” প্রবন্ধটি । এটা আমার প্রথম প্রবন্ধ । ইনশাআল্লাহ্ সামনে আমি নতুন কোন বিষয় নির্ধারন করে নতুন প্রবন্ধ লেখার চেষ্টা করবো ।