Skip to content

কবি মানে কি সংসার বিমুখী

কবিরা কি কখন সংসারি কিংবা সুখি হয়? সংসার অনেকের ভেঙ্গে যায়।কবি নিজেকে জ্ঞানি ভাবে। তাছাড়া তারা তো শিক্ষিত সমাজ,প্রগতিশীল সমাজ, যাদে বেশি ভাগেই সংসার বিমুখ। আর আমরা তাদের অনুসরণ করি। সুখ নামে আপেক্ষিক শব্দটার পিছে, তারা কল্পনায় খুজে বেরার।

লেখকেরা এমন কেনো,কল্পনার সুখে বিভর থাকে,
যেটা আবেগ মাঝেই ধরা যায়,বাস্তবে না। তারা যে সুখ খুজে, সমাজ তাকে অন্য নামে ডাকে। ইতিহাসে বড় বড় লেখক গুলো জীবন চিত্র তাই। যারা সংসার কে তুচ্ছ ভাবে। গুটি কয়েক জন লেখক বাদে। সেই কাব্য চর্চা আমরা খুবেই পাগল হই,জীবন কে উৎসর্গ করে দেই। তাতে মগজহীন বিজ্ঞ জনে নজর আসি কিন্তু ধর্মহীন সাহিত্য চর্চা করে। আমরা কি মানুষ হতে পারব? আমরা কেনো এমন? বিজ্ঞান, সাহিত্য হয় তো আমাদের সংসার নামে গন্ডিতে বাধতে দেয় না। কিন্তু এটা কি জীবন? সব কিছু মিলে জীবন।সমাজের চাপে পরে আমরা কেউ কেউ ঘর বাধি আবার যৌবনের কারণেও সংসার বাঁধতে হয়। কিন্তু একটা সময় গিয়ে এই মোহটা কেটে গেলে আমরা সংসার কে বিষ মনে করি। এসব চিন্তা বিজ্ঞ জন বা সাহিত্যিকেরা করতে পারে বলেই হয় তো বিয়ে নামে বাঁধানে নিজেকে বাঁধতে চায় না।

আমার দেখা কবি সুমী আপু,এক সন্তানের জনী। অনেক মেধাবী, সমাজে মেধাবী বলেই জানে। কিন্তু তার মেধার গন্ডি এত বিশাল হয়েছে যে, আজ এক সন্তান নিয়ে, তার জীবন সংসার যুদ্ধে পথ চলা বীরের মত। সংসারটা খুব ছোট করেছে। মেধাবীরা হয় তো জানে যে, এটা তার জন্য উত্তম। এখানে ধর্ম নামে যে শিক্ষা, তা মুল্যায়ন হারিয়েছে। আপু মেধাবি ছিল।এ বিষয় সন্দেহ নাই। কিন্তু ধর্মে দীক্ষা কি ছিল? তাহলে সংসারটাকে এত তুচ্ছ ভাবলেন কেনো? একটা সন্তান নিয়ে যদি চলা যায়,তাহলে সেই ছেলে সন্তানের বাবা কি করল? সংসার ভাঙ্গে জানা অজানা অনেক কারণে। কিন্তু আপু তার সংসার ভেঙ্গেছে, শুধু মাত্র সাহিত্যে অবাধ বিচারণ করতে পারেনি বলে। যে ছেলে সন্তান আজ তার খুঠি, কাল কি থাকবে, ছেলে সন্তানেরা জিনগত দিক দিয়ে বাবার দিকে বেশি যায়, বিজ্ঞান বলে। তাহলে আপুর কি হবে,তার ছেলে কি বাবার মত হবে? নাকি সন্তানকেও তার মত বানাবে। তাহলে ছেলেও তাদের মতই হবে? এখানেও খুঠি হেলে যায়।

সুমী আপু, আমাকে ছোট ভাই হিসাবে যথেষ্ট স্নেহ করে। মাঝে মাঝে তার লেখা নিয়ে কথা হয় আমার সাথে। তখন মনে হয় তার মেধা এখনে বন্দি হয়ে আছে। যা কারণে আজ আপু স্বামি থেকে আলাদা হয়ে,অমৃত তৃপ্তি নামে বিষ পান করছে। এতে নাকি তার সুন্দর চলছে। আপু হয় তো একটু মেধার কমতি আছে। যে সন্তান তার পাশে আছে বড় হলে কি? সেই সন্তান থাকবে। ব্যাকারণে হিসাবে সে থাকবে না। তার এই আজব জীবনের গল্পে আজ ছেলেটা তার সঙ্গি কিন্তু কালে কি থাকবে? যাকে নিয়ে বাঁধান হীন ভাবে চলছে কখন সাহিত্য থেকে সাহিত্যে,অনুষ্ঠান থেকে অনুষ্ঠানে।আবার কখন কখন সাপ্তাহিক ভ্রমণে। এসবে তো একটা সময় ক্লান্তি আসবে। তখন আপু কি করবে? আবার পরিবতন করবে নিজেকে, এটা জীবন হতে পারে প্রযুক্তি যুগে। যেখানে মিডিয়া নামে, অসামাজিক ফেসবুকে অতি লোভের কারণে নিজেও প্রযুক্তি পণ্য হয়ে আছে। এই টুকু বুঝার ক্ষমতার তার মেধার নেই। কারণ তার ধর্ম মানতে একপাশে নীতি আছে।সাহিত্যিকেরা ধার্মিক হয় খুবেই কম সংখ্যক।যাই হোক এটা তার ব্যক্তিগত ব্যপার। এটা যে সামগ্রিক প্রভাব পরে, জীবনে প্রতিটি মুহুতে। এটা সময় ব্যপার মাত্র, বুঝতে।

তাকে মুল্যায়ন সাহস বা মেধা আমার নেই।কিন্তু কাব্যিক জীবনের খেলায় আজ হোক আর কাল হোক কিংবা পরকালে হোক সে হারবেই। কারণ কাব্যের নামে কাব্যিক হওয়া আর ব্যাকারণে হিসাব মিলানো,একটা অপকর্ম মাত্র। আপু যেসব ব্যক্তির চিন্তা ধারা সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। তারা মোটামুটি সবাই ধর্ম নামে, আধুনিক কালচার বা অন্যের কালচার ধারাণ কারি। আজ আপুর চিন্তা ধারার সেই সব চিন্তার প্রতিফলিত হয়েছে। চুম্বকে সাথে যেমন লোহা রাখলে, চুম্বকত্ব পায়।এই সব কাব্যিক, ধর্মহীন চিন্তার মানুষের সাথে ওঠা বসায়, আপু তেমনি হয়েছে। বাবার আর্থিক ভালো আর ভালো একটা সংগঠনের জব করে(সংগঠনের কথা বলতে মনে পরে যায়, বিশ্বে যে সব সংগঠন নারীদের সমান অধিকারের আওয়াজ তুলে,তারা আজও নারীকে ক্ষমতার বসাই নি আর আমরা) , যা তাকে ভুল পথে এনেছে। আজ তার প্রভাব তার জীবনে পরেছে। কারণ আজ দিক থেকে বেদিকে চলে, জীবন।কখন কোথায় যায়, কোথায় থাকে পরিবার জানে না। এটাই তার স্বাধীনতা।আপু, তার বেশ কয়েক জনে অনুসারী হয়েছে। ফেসবুক নামে এই অসামাজিক মাধ্যমটায়। তার চিন্তা আজ প্রভাবিত করে আরেকটা মেয়েকে। সেও এমন চিন্তার প্রবাহিত হচ্ছে। যেনো পরশ পাথরে মত। ছুঁইলে খাঁঠি।

তবে অবিশ্বাস হলে সত্য যে, আপু তার অনুসারীদের নিয়ে বা বিপথে আসা মেয়েদের নিয়ে গর্ব করে বলে, সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র। যদিও তিনি নিজেও সাহিত্যের প্রথম ধাপে যেতে পারে নি। তাকে মুলত কিছু ফেসবুক পেজ,গ্রুপে কবিরা এই পথে নিয়ে এসেছে। এসব ফেসবুক কবিদের গুরুত্ব হচ্ছে কবিতা লেখা, পোষ্ট করা আবার বই বের করা। কিছু আত্নশুদ্ধি ব্যক্ত দেওয়া। যার কারণে আপু সংসার ছেড়ে। কিন্তু এই সব কবি, পেজ,গ্রুপ কে ছাড়ে নি।

আপনি আমি যত বড় হই না কেনো, শেষ বিকালে আমরা হেলাল হাফিজের মত হব। কারণ সংসার বিমুখ মানেই পথ হারা পথিক মত, পথ শেষ হবে না কিন্তু আমার ভার পথ আর বয়ে চলবে না। তাই বেওয়ারিশ দেহটা আমাদের মত কোনো ভাই বা বোনের, ওয়ারিশ পাবে না।

আপুর জীবনে সংসার মানে শুধু ছোটাছুটি,সাহিত্যে আঙ্গিনার পদচারণ।
ক্রেস, সম্মানোত্তর এসব নিয়ে পথে থেকে পথে ছুটাছুটি। এসব তার গর্বের বিষয়। এটা গর্বের কিন্তু সেটাকে সময় দিতে গিয়ে স্বামি সংসারকে না বলা,মেধা নয়। নিজের চিন্তার সেই সব কবিদের কথা প্রতিনিহত প্রতিফলিত হচ্ছে। বই পড়লে জ্ঞানী হয় না,প্রয়োগ প্রয়োজন। আপু সব সময় বলত,আমি ঠিক আছি। কেউ আমাকে প্রবাহিত করতে পারে না। সেটা বুঝার জন্য বেশি দুর নয়। ফেসবুকে পেজ, গ্রুপ ছাড়তে পারেনি। আবার গর্ব করে বলে, আমি ঠিক।পাগল যেমন গর্ব করে বলে আমি পাগল না।

সংসারটা তার খুব বেশি দিন থাকে নি। স্বামি চলে যায়নি, আপু ছেড়ে দিয়েছে। সাহিত্যের পথে তার বাধা ছিল, স্বামির আর সংসার। অর্থনৈতিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো থাকায়, তার অর্থের কারণে কখন পিছু হতে হয় নি।এটা তার পতনের মুল্য কারণ। মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি পেলে অনেক কিছু আর হিসাব করে না। সুস্থ দেহ,রক্তের প্রবাহ তখন প্রবল বেগে চলে। বন্দি থাকার তার জন্য নয়।

মানুষ সভ্য তখনি হয় যখন একটা গন্ডি ভিতর আবদ্ধ থাকে।আর যে অসভ্য, সে স্বাধীন ভাবে উড়ায় নামে অন্যকে হেয় করে।স্বাধীনতা মানে সীমাহীন না।স্বাধীনতা একটা মাপখাঠি আছে বলেই, আমরা মানুষ।

আজ আপু মেধা টাকা সবে আছে। তাই মুক্ত ভাবে চলা ফেরা করা জন্য সংসার ছেড়ে, ছেলে কে নিয়ে ছুটছে। আপু ভুলে গেছে এই ছেলে আরো দ্রুত গতি ছুটবে। তখন আর ছেলের সাথে তাল মিয়ে চলতে পারবে না।

তার আরেক দিক নিয়ে কথা না বললে নয়।আপু একজন মার্জিত মেয়ে। পোশাক আশাক তার চিহ্ন, হিজাব পরে, নামায কালাম পরে। আপুর স্বামি এখানে ইসলামে নিয়মে বাধতে চেয়ে ছিল। যাতে এই মুর্খ বিজ্ঞ তার স্ত্রী কে শয়তানের চালে বাঁধতে না পারে। আপু সব সময় বলত, আমিও হাদিস জানি,এভাবে নানা বিষয় নিজের জ্ঞান জারি করত। যদিও মুখে বিনয় ছিল। কিন্তু বাস্তবে প্রোমোটারেরা মানে বিজ্ঞ জনেরা কাব্যকে এতটাই উপরে তুলত যে, তার চিন্তার ধর্মহীন কবিতার আবেগে ভাসত।সেই সব নিলজ্জ কবির সাথে। চিন্তার, আপু থেকে অনেক ভালো ছিল,তার স্বামী। আপুর চিন্তা সাহিত্যের একটা অংশে থেমে গেছে।যাদের বাকি সব তুচ্ছ হয়েছে। আরো অনেক ঘটনা আছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, যেগুলো বলার মত না।তবে এতটুকু সত্যে যে, ফেসবুক যদি সামাজিক হতে চায়, তাহলে তার মত নিলজ্জ অসামাজিক আর কেউ হবে না।

আপুর কে গিলে খেয়েছে সাহিত্য আর ফেসবুক। সাহিত্য থেকে আপু প্রগতিশীল নারীবাদি হয়েছে(যদিও সমাজে কিংবা রাষ্ট্রে আপুকে কেউ চেনে না)। কল্পানার শিখর গড়ে বসে আছে যে, একদিন সাহিত্যের হত্তাকর্তা হবে।তাই নিজের মুখ ক্যামেরা আনতে খুব ভালোবাসে। আপুর স্বামি ইচ্ছা আপু একটা গন্ডিতে বেধে রাখা,কিন্তু বনে বাস করা পাখি কি?
খাচায় থাকে । তবে আপুর জন্য একটা সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি আসবে, সংসারের অভাব। রক্তে প্রবাহে,অর্থ বিশাল, মুক্ত চিন্তার নামে বিমুখী সংসার আর স্বামির মুল্য আজ হয়তো নাই।কিন্তু চিরদিন সব থাকবে না, আজ এখানে ওখানে যাওয়া সামর্থ আছে বলে,চলছে কিন্তু যৌবনহীন জীবন কি হবে? সাহিত্যের নামে পাপাচার জগতে থাকবে, চলবে কারণ আমরা নামে ধর্ম পালন করি। তাই সেখানে যুক্তিকে, চিন্তাকে দাড় করাই । যেকোনো সময় ছুয়ে ফেলে দেওয়া মত, শক্তি থাকতে হবে। ফেসবুক আপন হলেই বুঝবে, তারা মগজ নষ্ট হয়েছে। শয়তান বসে আছে। আপু সাথে মাঝে মাঝে দেখা হত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ,অনেক কথা হয়।

সুমী আপু মাঝে এখন পশ্চিমা সংস্কৃতি সব গুণে দেখতে পাই। শীরলে চামড়া ভাজ পড়েছে কিন্তু চামড়া ভাজে ভাজে মেকাপ বসে আছে।পদাশীল, নামায কালাম এখন নাকি আর পড়া হয় না, ব্যস্ত বলে।

ক্লান্তি তুমি এমনি, তুমি নিজেও জানবে না, পরিবতন কবে, কেমন হবে। কারণ তোমার চলাফেলা তাদের মত আর্দশ হচ্ছে। ভোগের সব সামগ্রিক থাকে শর্তে আজ বিজ্ঞ জনের ডিপ্রেশনে ভুগচ্ছে কেনো। কারণ শান্তি রাস্তা থেকে আমাদের সরে আসা।শান্তি ফেসবুকে নাই, শান্তি মিডিয়া নাই,শান্তি ধর্মহীন কমে নাই,শান্তি অইসলামিক অনুষ্ঠানে নাই, শান্তি টেলিভিশন কবিতার আবৃতে নাই, শান্তি নিজেকে প্রচারে নাই, শান্তির একটাই পথ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, এসব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে, সৃষ্টিকর্তার দেখানো পথে শান্তি।

মানে নি মুর্খ বিজ্ঞরা, তারা হয়তো খ্যাতি পেয়ে কিন্তু সংসার পাইনি, যৌবন কে করেছে নষ্ট কিন্তু সুখ পাই নি, মিডিয়া নিজের হাস উজ্জ্বল মুখে ভিতরে, লুকিয়ে আছে অশান্তির কাক ডাকা দুপুর। আপনি আমি তাদের অনুসরণকারী। একটা বাণীতে আছে কাব্যিক কথা কিন্তু এটা পালন করতে গিয়ে আমরা হাজার বাণী মানলাম না,সেই বোধোদয় আজ আমাদের নাই। বিজ্ঞ দের ধর্ম শিক্ষা অতি জরুলি,,,,,,,,,,,,

সাহিত্যের দোষ নেই, সাহিত্যের নামে যে কালচার ধারণ করি,ভুল সেখানে। ধর্মহীন সাহিত্য কখন কল্যাণ কর হতে পারে না, বলেই কবিদের নিলজ্জ মিলন মেলা বসে। আর ধর্মের নামে কথা বলেই হবে মৌলবাদী। আর এখনে থেকে সাহিত্য চর্চা করে, ভালো মানুষ হতে পারবে না। কারণ প্রগতিশীল শয়তানের ভিরে নিজেকে ভালো ভাবার কারণ নেই। আজ অথবা কাল নিজের অজানতেই আমরা তাদের মতই হব।

মন্তব্য করুন