Skip to content

কবি ইমতিয়াজ মাহমুদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনাপূর্বক – যুবক অনার্য

এখন কেউ কথা বলে না, না বলার সংগত কারণও আছে। এখন সেই নব্বইয়ে দশক নয়, যখন চাঁদের আলোয় কী অনায়াসেই ঘুরে বেড়াতো কতিপয় যুবক। কেউ এসে বোলতো না আপনার পরিচয় দিন। এখন যদি আমি কবিতা লিখবার উদ্দেশেও ঢাকার রাস্তায় হেঁটে বেড়াই কোত্থেকে ধাই করে চলে আসবে পুলিশের ভ্যান, বোলবে বাড়ি কোথায় এতো রাতে এখানে কি করছেন বাড়ির দিকে চলে যান।
কবি রফিক আজাদকে একবার পুলিশ ভ্যানে উঠিয়েছিলো।রফিক ভাই পুলিশের আইজিকে ফোন করে বোল্লেন ঃ তোমার কুত্তারা আমারেে ধইরা আনসে।
পুলিশরা স্যার স্যার বলে ছেড়ে দিলো। রফিক ভাই পুলিশের লোককে ৫০০ টাকা দিয়ে বোল্লেন: চা -টা খেয়ে নিয়ো। পুলিশগণ মহা খুশি। আমি রফিক আজাদের মতো বিখ্যাত নই। নিতান্তই চুনোপুটি, নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাই মধ্যরাতে প্রধান সড়কে আমার হাঁটার কোনো অধিকার নেই। হাঁটলে পুলিশগণ আমাকে চালান করে দেবে যেমন চালন করে দিয়েছিলো জনৈক ডিসি সাহেব স্টুডেন্ট পড়া পারে নি বোলে। আমাকে ১ মাসের জেল দিয়ে দিলো। আমাকে বাঁচানোর কেউ নেই! আমি কি আর একজন আমলার সাথে পারবো! কখনোই না। তবে পরকাল বলে যদি কিছু থাকে আমি অই আমলার দুই গালে চটকে সবগুলো দাঁত ফেলে দিবো।এই প্রসংগটি কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ স্যারের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়।ইমতিয়াজ স্যার খুবই ভদ্র মানুষ, তাকে এইসব আনক্রিয়েটিভ চাকুরিতে মানায় না।তিনি মূলত কবি, আদ্যপান্তই কবি। জনৈক ডিসি ইমতিয়াজ মাহমুদ এই রাষ্ট্র প্রাধানমন্ত্রী কেউই আমাকে মধ্য রাতে হাঁটতে দেবেনা প্রধান সড়কের মাঝখান ধরে এবং তাই নব্বই দশকের পর এই দেশে কবিজন্মের রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু কবি ছাড়া এই দেশ স্বাধীন হবার পরেও থেকে গেছে পরাধীন। আমি তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি -আজ মাঝ রাতে হেঁটে যাবো সড়কের মাঝখান ধরে। আমাকে বাধা দেবে পুলিশ ডিসি মহোদয় ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমনকি বাধা দিবে নৈশ নারী -আমি তাদের খদ্দর নই বলে। তবু সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে আজ মাঝরাতে আমি ১৪৪ ধারা ভংগ করে হেঁটে যাবো প্রধান সড়কের মাঝখান জুড়ে। আমি জানি এই দেশে স্বাধীনতা চাওয়া মানেই রাষ্টদ্রোহীতা। আমি রাষ্ট্রদদ্রোহী হতে চাই কারণ আমি কবিতা লিখতে চাই যে কবিতাকে বুলেটবিদ্ধ করা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে। অদ্ভুত বিষয় হলো -বুলেটবিদ্ধ সেই আহত কবিতাকেও ভীষণ ভয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনৈক আমলার ইমতিয়াজ মাহমুদের নষ্টরাজ এই রাষ্টের পুলিশ বাহিনীর সর্বোপরি নপুংশক কবিদের।

আমার এবং একজন আমলা কবির তফাৎ হল আমি যখন মধ্যরাতে সড়কের মাঝখন বেয়ে হেঁটে যাই তখন বাধার সন্মুখিন হই কিন্ত যখন একজন আমলা কবি সড়কের মাঝখান দিয়ে শাঁই শাঁই করে ছুটে যান তার কোনো বাধার প্রশ্নই থাকে না, তাই আমলা কবির কবিতা শৃংখলিত আর আমার কবিতা মুক্ত এবং স্বাধীন।

মন্তব্য করুন