বসন্ত বিলাপে,ইতিহাস বিস্মৃত স্বয়ম্ভু সন্ধ্যায়,
প্রকৃতির অনুকারী হয়ে নির্বাকে বসে আছে ওরা দুই মানব-মানবী।
একজন শ্মশান ফেরত শবযাত্রী,
অন্য জনের মাতৃ জঠরে অযত্ন লালিত আত্মগ্লানি,
একজন ভুল গুলো চিনেও চেনেনা,
অন্যজন গোল আঁকতে চৌকো আঁকে শত চেষ্টায়।
এক জন তার শরীর জুড়ে ভরা জোৎস্নায় প্রতীকী ইমন জমায়,
অপর জনের বুকের ভেতর উথাল পাথাল বেহাগী ঠুমরি।
ওরা দুই মানুষ-মানুষী,
সারা রাত ওরা বসে থেকেছে বকুলের মাঠে হাতের উপর হাত রেখে,
পৃথিবী তখন ওদের অনুসারী,
শরীরী শিহরণ অনুষঙ্গে তার বাতাস বয়ে চলে,
ওদের অঙ্গ ছুয়ে একজোড়া মরাল মরালীর মতো।
ধ্বংসের পথে অমানিশার আর্ত কলরব চাপা পড়ে যায় ওদের শরীরী বিভঙ্গে।
শত শত মৃতদেহে প্রাণের স্পন্দন,
যতো সব অনশনী,সমাবেশ ফেরত একদল বিক্ষুব্ধ ধর্মঘটি,
ধ্বজভঙ্গ বৃদ্ধ পুরুষ,সোনাগাছির বাতিল বেশ্যা,
ওদের দেখে বাঁচতে শেখে।
ওরা দুই মানুষ-মানুষী,
প্রকৃতির প্রকৃত অনুকারী ওরা দুই জন।।