Skip to content

এখানে কোথাও ছায়া নেই

দরোজায় তালা দেয়া মানুষের ভীড় গেছে বেড়ে!
মসজিদ মন্দির বা গির্জার দরোজায় দাঁড়িয়ে
দুই হাত কচলায় ঠিকরে বেরিয়ে আসা চোখ।
লাল কাস্তে স্যুয়েরেজে তলিয়ে গিয়েছে সেই কবে,
ভোটবাক্স ড্রয়িংরুমে শোভিত এক যন্ত্র কৌশল!
তন্ত্র মন্ত্র পড়ে দেয় ফু হাভাতে উনুনে, কষানো
মাংসের গন্ধের মতো ভাসে মানুষের সাধ-স্বপ্ন আশা!
রাজপথে রেখাহীন হাতের তালুতে অগ্নিটিকা,
উত্তাপে চৌচির তবু নিরুত্তাপ পোড়ে ও ছড়ায়।
‘গাঙের ঢেউয়ের মতো’ কন্যারা ভেসে যায় পথে।
পোড়ামাটি পুরুষের কাঁধে চেপে গণ্ডারের দল,
গরুর পালের মতো ধেয়ে চলে অদম্য বাসনা।
ছুট ছুট ছুট!
এখানে আলোর বিচ্ছুরণে লেখা ভরবেগ গতি।

বাউল, যাবিটা কোথায়?
কী করে বলবো তোকে – এখানে আর না,
অন্য কোনখানে, চল অন্য কোথা যাই।

এখানে কোথাও ছায়া নেই!
মাঘের শীতেও পোড়ে তামাটে কপাল।
ধুসর কুয়শা যেন চারপাশে পোড়া চোখে মুখে,
গ্রীষ্মেরও খরা-তাপ লেগে আছে চেতনা ও বোধে।
মোবিলের পোড়া গন্ধে বাজি রাখা জীবনসকটে,
প্রখর রৌদ্রের তাপে ঘাসফুল কত দিন বাঁচে?
এখানে কোথাও ছায়া নেই!
জিরোবো কোথায়?

এখানে পানশালায় বসে আঁকা হয় গোয়ার্নিকা,
স্বপ্ন ব্যবচ্ছেদ করে মহাকাব্য মদের টেবিলে।
জমাট রক্তের চোখ অন্ধ সাহিত্যের,
সারা গায়ে জড়িয়েছে মনসার কাটা।
শিল্পের নীল কণ্ঠ ভরে আছে গজলের সুরে,
বাড়ি ফেরে দিন শেষে যৌনকর্মী হয়ে।
আমদানী হয় কিছু চেনা মুখ অচেনা শরীরে,
মাটির গভীর থেকে দানবেরা উঁকি দেয় রোজ!
ধর্মের জাহাজ ভরে বাণিজ্য ফতোয়া এসে নামে।
পাপের উত্তাপে পোড়ে পতঙ্গ-মানুষ পথে ঘাটে।
উষ্ণতা পোড়ায় চাল, ডালপালা, বুক মুখ এবং সম্মুখ।
কোথাও স্বস্তি নেই, অস্থির নৌকা ভাসে জলে!
মনে হয় সব ঠিক, তবু যেন মাইক্রো ওভেনে চড়ে আছি!
খোলো খোলো খোলো-
যতটা পারা যায় অন্ধকারে অন্তর্বাস খোলো!

প্রচণ্ড দাবদাহ, ভেতরটা পুড়ে যায়!

বাউল, যাবিটা কোথায়?
কী করে বলবো তোকে – এখানে কোথাও ছায়া নেই,
অন্য কোনখানে, অন্য কোন গাঁয়ে চল যাই।

1 thought on “এখানে কোথাও ছায়া নেই”

  1. Nurul Kabir

    প্রথমত, পোস্ট করার পর লেখা এডিটের অনশন পাচ্ছি না। লেখকের নাম দেয়ার অফশন বুঝিনি।
    ‘আরও পড়ুন এই লেখকের আরও লেখা’ পপআপের নীচে বিভিন্ন লেখক। বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ‘লেখকদের’ হলে বুঝতে সুবিধা হয়।

মন্তব্য করুন