Skip to content

এখন আর কেউ

এখন আর কেউ রাত জেগে বসে থাকে না।
কেউ আর কবিতা লিখবে বলে ছন্দ খোজে না।
মন খারাপ হলে গুনগুন করে গান ধরে না।

কতো সময় পার করেছে, পাগলের মতো দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে একটু ভালোবাসা পাবার আশায়।
প্রতিবারই তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ক্ষুদার্থ ভিখিরির মতো।
প্রতিবারই হৃদয়ে জন্ম নিয়েছে নতুন নতুন ক্ষত।

এখন আর কেউ বেলাবোসের জন্যে রং নাম্বারে কল দেয়না।
বেলাবোস চলে যাকনা,
আসবে আবার অন্যকেউ ভেবেই নিজেকে শান্তনা দেয়।
বেতনের টাকা জমিয়ে, ব্যাংক ব্যালেন্স করে।

এখন আর কেউ বনলতাকে দেখে কবিতা লেখে না ” চুল তার কবে কার, অন্ধকার”।

হেলাল হাফিজের কবিতা আবৃত্তি করে ক্ষনে ক্ষনে “আমার কষ্টেরা বেশ ভালোই আছে।
খাচ্ছেদাচ্ছে, অফিস যাচ্ছে”।
প্রেসক্লাব অবধি যদিও দৌড় তার কষ্টদের নেই,
তাই এই পর্যন্তই এসে বারবার থেমে গিয়ে নতুন ছন্দ বাধে।

যে প্রেমিকার ঠোটের হাসিখানা,
যুবকের ঠোটে ঝুলে থাকা গোল্ডলিফ সিগারেটের থেকেই বেশি নেশা ধরিয়ে দিতো,
সেই হাসিখানাও এখন পানসে লাগে।

যে ছেলেটি, সবাইকে বলে বেড়াতো “জানিস, হাজারটা মানুষের মাঝে থেকেও, এক নিমেষেই তাকে খুজে বের করা যায়”, সেই ছেলেটিও এখন চুপচাপ একা।

এখন আর কেউ দু’দণ্ড শান্তি খোঁজেনা কোন প্রেমিকার কোলে।
এখন আর কেউ, ঘড়িতে অপেক্ষার প্রহর গোণেনা প্রেমিকার স্পর্শ পাবে বলে।

মন্তব্য করুন