Skip to content

একা বিংশ শতাব্দীর বাঙালি কৃষক হতে চাই – তাপস ঠাকুর

ওরা সবাই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়,
বিসিএস ক্যাডার হতে চায়।
কেউ কৃষক হতে চায় না!
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বিসিএস ক্যাডার হবে,
ব্যারিস্টার, জজ, চাকরিজীবি, সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবী, নেতা হবে, মন্ত্রী হবে।
কৃষক কেউই হতে চায় না।
কৃষকের সন্তানেরাই জজ হয়েছে, ব্যারিস্টার হয়েছে।
যদি আর কোন কৃষক না জন্মে,
এই পৃথিবী কি দিবে, সেই বিশাল জন গোষ্ঠীর খাদ্য জোগান!
হিমালয় থেকে সুন্দরবন,
এই যে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী মিঠাপানি অঞ্চলে,
সহস্র বছর ধরে এগিয়ে যাওয়া
কৃষক-জেলেদের জীবনসংগ্রামের ইতিহাস,
আমাদের পুর্বপুরুষদের ইতিহাস।
আমরা যতই পূর্তগীজ আর আইরিশদের মত পোশাক পরিধান করি না কেন,
আমাদের শরীরে ঐ নিঝুম দ্বীপের জেলেদের গন্ধ।
জানো কি ইতিহাস,
আলেকজান্ডার বহুদিন ধরে বহু পথ পেড়িয়ে,
হিমালয় পার হয়ে এসেছিল,
গঙ্গার ধারে অমুল্য রত্নের সন্ধানে।
তার ছিলো মাত্র কয়েকশো ঘোড়াবাহী সেনা,
অপরদিকে বাঙালি রাজার হাজার খানেক ঘোড়া,
আর তিন হাজার হাতি বাহিনী দেখে,
আলেকজান্ডার পালিয়েছিলেন, গঙ্গা পাড় হতে পারেন নি।
সে ইতিহাস আমরা জানি না।
আমরা জানি না,
কিভাবে সহস্র বছর ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা,
আমাদের এই পর্যায়ে এনেছেন।
ভাষা ভিত্তিক জাতিগোষ্ঠীর ভিত্তিতে বাঙালিরা,
পৃথিবীর অষ্ঠম বৃহত্তর জাতিগোষ্ঠী হতে চলেছে।
বিশ্বায়নের এই যুগে,
সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা,
বাঙালি চিকিৎসক, বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার, বাঙালি শিক্ষক,
বাঙালি ব্যবসায়ী, বাঙালি শিল্পীরা, যেখানে যে অবস্থানে যতটুকুই অবদান রাখুক, সকলের শিকড় ঐ সুন্দরবন, নিঝুম দ্বীপের জেলে কৃষক পরিবারে।
হিন্দু মুসলিম দন্দ মন্দ, এসব আর নয়।
বিশ্ব মানচিত্রে একটি ভাষা ভিত্তিক জাতিগোষ্ঠীর,
স্বাধীন পরিচয়।

1 thought on “একা বিংশ শতাব্দীর বাঙালি কৃষক হতে চাই – তাপস ঠাকুর”

মন্তব্য করুন